বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মে দিবস পালিত হচ্ছে। মে দিবস, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস নামেও পরিচিত।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে শ্রমঘণ্টা কমিয়ে দৈনিক আট ঘণ্টা করার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে রাস্তায় নেমে আসা শ্রমিকদের ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মরণে প্রতি বছর মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস পালন করা হয়।
মে দিবস বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন।
এ বছর বাংলাদেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
১৮৮৬ সালের ১ মে দৈনিক ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠেন। হে মার্কেটের কাছে তাদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে ১০ শ্রমিক নিহত হন। উত্তাল সেই আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে দিতে বাধ্য হয় এবং বিশ্বব্যাপী দৈনিক আট ঘণ্টা শ্রমঘণ্টা চালু করা হয়।
১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সমাবেশে ১ মে’কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী এ দিনটি পালিত হচ্ছে।
ঐতিহাসিক মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকদের একাগ্রতা এবং শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক।
তিনি বলেন, শ্রমিক ও মালিকদের ইতিবাচক অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রমখাতে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট সকলেই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিজ নিজ ভূমিকা পালন করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ও মালিকরা একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিতপ্রাণ হবেন। শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলব।’