চৈত্র সংক্রান্তিতে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে পাহাড়ে এখন বৈসাবি উৎসবের আমেজ বইছে।
পাহাড়িদের এই উৎসব তিনটি আলাদা নামে হলেও সমতলের মানুষের কাছে তা বৈসাবি নামে পরিচিত। এবার পাহাড়ের মানুষের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি তথা বিজু, সাংগ্রাই ও বৈসুক পালন করা হচ্ছে সাড়ম্বরে। বৈসাবিকে ঘিরে পার্বত্য জনপদের পাড়া-মহল্লায় ঘরে ঘরে ঐহিত্যবাহী খাবার পাঁজন খাওয়ার ও বেড়ানোর ধুম চলছে। এছাড়াও পাহাড়ে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজন চলছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অধিবাসীদের বিজু, সাংগ্রাই ও বৈসুক তথা বৈসাবি উৎসবের আজ দ্বিতীয় দিন। চৈত্র সংক্রান্তির এ দিনকে চাকমারা মূলবিজু আর ত্রিপুরারা বিসিমা দিন হিসাবে পালন করে থাকেন। আলাদা নামে হলেও চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা ও মারমা জাতিগোষ্ঠির মানুষও একযোগে পালন করেন এ উৎসব।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পূণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল
পাহাড়ি প্রত্যেক পল্লীতে সকালে ঘরে ঘরে রান্না করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাবার পাজন। প্রায় অর্ধ শত প্রকারের সবজি দিয়ে রান্না হয় এই পাঁজন। তার সঙ্গে নানান উপাদেয় খাবার দিয়ে দিনভর চলে অতিথি আপ্যায়ন। সবাই মনে করে, পাঁচটি ঘরে পাঁজন খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সারা বছর অসুখ-বিসুখ হয় না।
আগামীকাল ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ নানাবিধ পূজা-পার্বণ আর প্রার্থনার মধ্যদিয়ে পালিত হবে গোজ্যাপোজ্যে দিন ও বর্ষবরণ উৎসব।
আগামী ১৬ এপ্রিল রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়াতে মারমাদের বৃহত্তম পানি খেলা উৎসবের মধ্যদিয়েই সমাপ্তি হবে পাহাড়ের বৈসাবির উৎসব।
এই বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে সকল ক্ষুদ্র জাতিকে এক কাতারে নিয়ে নিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ