দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বরদেশ্বরী কালী মন্দিরে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় বলে গ্যালারি কসমসের এক্সিকিউটিভ আর্ট ডিরেক্টর সৌরভ চৌধুরী জানিয়েছেন।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ একুশে পদক বিজয়ী এ শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তার মরদেহ বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিল্পী হামিদুজ্জামান খান, হাশেম খান, মনিরুল ইসলাম, রোকেয়া সুলতানা, ফরিদা জামান ও শহীদ কাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ও উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও কলামিস্ট মফিদুল হকসহ হাজারো ভক্ত ও অনুরাগী কালিদাসকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার আগে, সকাল ৯টার দিকে বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে মরদেহ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আনা হয় এবং এখানেও হাজারো মানুষ বরেণ্য এ শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানান।
গ্যালারি কসমস, কসমস-আতেলিয়ার ৭১, কসমস বুকস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির চারুকলা অনুষদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা গ্যালারি, বেসিস ডিজাইন সেন্টার, বাংলা একাডেমি ও জাতীয় জাদুঘরসহ অনেক সংস্থা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
গ্যালারি কসমসের পরিচালক তাহমিনা এনায়েত, নির্বাহী সহকারী পরিচালক রুমেসা মেইলক্স, কসমস বুকসের সিসিও এআরকে রিপনসহ কসমস গ্রুপের আরও অনেকে আজীবনের বন্ধু এবং গ্যালারি কসমস ও কসমস-আতেলিয়ার ৭১ এর উপদেষ্টার প্রতি তাদের আবেগময় শ্রদ্ধা জানান।
কালিদাস রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার দুই মেয়ে কঙ্কা কর্মকার ও কেয়া কর্মকার যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগার রাখা ছিল। তারা রবিবার দেশে ফেরেন।
কালিদাস কর্মকার ছিলেন গ্যালারি কসমস ও কসমস-আতেলিয়ার ৭১ এর উপদেষ্টা, বন্ধু ও পিতৃস্থানীয়।