‘টাঙ্গাইল তাঁত ভবিষ্যতের বুনন: সমসাময়িক ফ্যাশনে ঐতিহ্যের ভূমিকা’শিরোনামে আর্কা ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীতে বেলা সাড়ে ৩টায় সেমিনারটি শুরু হয়।
সেমিনারের শুরুতে শেখ সাইফুর রহমান টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাস, এর নিজস্বতা, বৈশিষ্ট্য ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ঐতিহ্যবাহী এই টেক্সটাইলের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
পরে জিশান কিংসক হকের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা শুরু হয়।
ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার কিজি তাহনিন, বাংলাদেশ তাঁতশিল্প বোর্ডের প্রকল্প প্রধান মো. আইয়ুব আলী, টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক, ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি), বিজিএমইএ-এর ফ্যাশন স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক শর্মিলি সরকার এবং আর্কা ফ্যাশন উইকের বিশেষ প্রদর্শনী বয়নকাব্যের কিউরেটর জুয়েল এ রব আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ৫ তরুণ আলোকচিত্রীর 'বোধ'
রঘুনাথ বসাক বসাক পরিবারগুলোর বিভিন্ন সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে জানান, তন্তুবায় সম্পদায়ের লোক বসাকরা। ২৫০ বছর আগে টাঙ্গাইলে এই কাপড় বোনা শুরু হয় তাই নাম হয় টাঙ্গাইল শাড়ি। আবহাওয়ার খোঁজে তাঁতী পরিবারগুলো চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিভিন্ন এলাকা হয়ে টাঙ্গাইল আসে। এখানে লৌহজং নদীর পাড় সবচেয়ে বেশি উপযোগী মনে হয়েছিল তাদের কাছে।
কিজি তাহনিন জানান ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বলেন, তাঁতশিল্পীরা চাইলেই কেবল টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পকে ইন্টেলিজিবল কালচারাল হেরিটেজ করার জন্য আবেদন করা যাবে।
বস্ত্র সম্পর্কীয় হেরিটেজগুলো জিআই পেতে কী কী করছেন তা তুলে ধরেন আইয়ুব আলী।
টাঙ্গাইল শাড়ির মোটিফগুলো সংরক্ষণ করতে গবেষণার গুরুত্ব ও একাডেমিকদের আগ্রহ প্রয়োজন বলে তুলে ধরেন শর্মিলি সরকার।
জুয়েল এ রব তার বক্তব্যে আর্কায় ‘টাঙ্গাইল বয়নকাব্য নামে’ যে প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। শাড়ির পাড় ও নদীর পাড় তার কাছে একই। আর তাঁতীদের বর্তমান জীবন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সক্ষমতার চিত্র