বাংলায় হাবশী রাজবংশের চমকপ্রদ ইতিহাস (১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দ) তুলে ধরে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স রবিন্স বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ সময়ের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলায় ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য জায়গায় আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় রাজবংশের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। ধর্ম, বর্ণবাদ, সঙ্গীত ইত্যাদি সম্পর্কিত আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে। ইতিহাসবিদদের এই সমস্ত ইতিহাস এক করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এ দেয়া জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন মেমোরিয়াল লেকচার-২০২৩ এ দেয়া বক্তৃতায় ডা. রবিন্স এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হাবশী শাসক ও তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে বিবিন্ন গল্প প্রচলিত আছে, যেমন- মালিক আন্দিল (সুলতান সাইফুদ্দিন ফিরুজ শাহ) । (আমরা শুধু জানি) তিনি জনগণের প্রতি খুব উদার ছিলেন কিন্তু আসলে তিনি কী করেছিলেন তা আমরা জানি না। তার ছেলে শামসুদ্দিন মোজাফফর শাহ তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং তিনি এই বংশের শেষ শাসক। তিনিও একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আফ্রিকানদের বাংলায় মসজিদ নির্মাণ ও তাদের সংস্কৃতিকে এঅঞ্চলে বিস্তারের বিভিন্ন গল্পও আমরা জানি। এই সবই খুব চমকপ্রদ …এগুলো বাংলার ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি এসময় ভারত মহাসাগরের পাড়ের বাঙালি ও আফ্রিকানদের বিষয়ে লেখা একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেন। যে বইটি তিনি নিজে, কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান এবং লখনৌ ও এর সংস্কৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্রিটিশ স্কলার ড. রোজি লেভেলিন-জোনস এমবিই মিলে সম্পাদনা করেছেন।
বইটিতে বাংলার আফ্রিকান অভিজাত,বাংলার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, বিদেশে বাঙালি এবং বাঙালি মুসলমান বংশোদ্ভূত আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী বরদু আলীর মতো সঙ্গীতঙ্গের নামে কয়েকটি অধ্যায় রয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন ট্রাস্ট ফান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আরও পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন