উৎসব ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে শুক্রবার জাতি বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে দেশ।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন ছয় শতাব্দীরও বেশি আগে শুরু হওয়ার পর থেকে বাঙালির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর রমনা পার্কে ছায়ানটের শিল্পীদের গান ও কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে এ বছরের উৎসব শুরু হয়।
তাদের শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে, সর্বস্তরের মানুষ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ স্বাগত জানাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ বছরের জন্য নতুন আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে ভিড় করবে।
এটি টানা দ্বিতীয় বছর হিসাবে চিহ্নিত করেছে যে পহেলা বৈশাখ পবিত্র রমজান মাসে পালিত হবে এবং পবিত্র মাসের একতা ও সারমর্মকে সম্মান করে এই বছর উৎসবের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চারুকলা নামে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এবারের পহেলা বৈশাখ পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ঐতিহ্যগতভাবে, প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই জাতীয় দিবসটিকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (সুসংবাদের মার্চ) নামক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উৎসব উদযাপন করে।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব ও বাঙালি উভয় ধরনের সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতকে মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিশ্ব শান্তির আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গাওয়া গান ‘বরিশ ধারা মাঝে শান্তির বাড়ি’ স্লোগান নিয়ে এবারের শোভাযাত্রায় ভেড়া, হাতি, নীলগাই, টেপা পুতুল, বাঘ ও ময়ূরের ছয়টি বড় কাঠামো উপস্থাপন করা হবে। বাংলা নববর্ষের মোটিফের প্রতিনিধিত্ব করে।
এদিকে পহেলা বৈশাখ নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, উদযাপনে পুলিশ ও বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ঐতিহ্যবাহী নতুন খাতা বই 'হালখাতা' খুলে ক্রেতাদের মিষ্টি উপহার দেবে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন।