২১ ঘণ্টা আমরণ অনশনে থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি কুয়েটের এমটিই বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে সেবা দেন।
এ সময় তাকে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তির অনুরোধ করলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান। আন্দোলনকারীদের অনুরোধে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় যান। তারা অনশন থেকে সরে আলোচনায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন। এমনকি ফলের রস পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার চেষ্টাও করেন।, তবে শিক্ষার্থীরা সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন আমরণ অনশনে অংশ নেন। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল (সোমবার) দুপুর ২টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্বার বাংলার সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন।
বেলা ৩টায় সেখান জড়ো হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অবস্থান নেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে আমরণ অনশন শুরু করেন। বাকি শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাদের উৎসাহ দেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষক গতকাল সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার প্রাণপণ চেষ্টা চালান। সকালে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।