‘মাছ কাটার স্বপ্ন দেখে’ দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন সিলেটের গোয়াইনঘাটের বাসিন্দা হিফজুর রহমান।
গোয়াইনঘাটের আমলিগ্রহণকারী আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ সময় স্ত্রী ও সন্তানদের ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন হিফজুর।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিলীপ কান্তি নাথ জানান, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৬ জুন সকালে গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে হিফজুরের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩০), ছেলে মিজান (১০) ও তিন বছরের মেয়ে তানিশার লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৫ জুন রাতের কোনো এক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের বটি দিয়ে তাদের কুপিয়ে খুন করা হয় বলে পুলিশের ধারণা।
এই সময় হিফজুরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও শুরু থেকে তাকে সন্দেহ করে পুলিশ। এই ঘটনায় হালিমার বাবা আইয়ুব আলী অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের আলামত ও হিফজুরের উল্টাপাল্টা বক্তব্যের জন্য তাকে নজরদারিতে রাখে পুলিশ। গত ১৯ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হিফজুরকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২০ জুন তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক দিলীপ কান্তি নাথ।
আরও পড়ুন: ‘গালাগাল’ করায় সাবেক চেয়ারম্যানকে খুন,গৃহকর্মীর স্বীকারোক্তি
এই আবেদনের শুনানি শেষে গোয়াইনঘাটের আমলি আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ২৪ জুন বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষের এক দিন আগে হিফজুর এই স্বীকারোক্তি দেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান, শুরু থেকে নিজেকে পাগল প্রমাণের চেষ্টা করছে হিফজুর।