সোমবার ১৫ আসামির উপস্থিতিতে রায়ের দিন ধার্য করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ।
এ মামলায় অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার মামলার বিচার কাজ শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফেজ আহমদ ইতিপূর্বে আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থাপিত যুক্তিতর্কের বিপক্ষে আইনী ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন।
গত ২০ জুন এ মামলার অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি শেষে ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ৩০ মে বিচারক জাকির হোসেন অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত ১৬ আসামি হলেন- মাদরাসার সদ্য বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, মাদরাসার প্রভাষক আফছার উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, হাফেজ আবদুল কাদের, ছাত্র নুর উদ্দিন, ইফতেখার উদ্দিন রানা, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, মো. শামীম, সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, আবদুর রহিম শরীফ, মহি উদ্দিন শাকিল, ইমরান হোসেন মামুন, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি এবং শাহাদাত হোসেন শামীম।
নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে গত ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে ডেকে নিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলে মৃত্যুশয্যায় বলে গেছেন নুসরাত। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।