প্রতি বছর ধান কাটা শেষ হতেই ইঁদুরের গর্তে হানা দেয়া শুরু করে এক দল শিশু-কিশোর। এদের কারও বাবা দিনমজুর আবার কারও বাবা ভ্যানচালক। দরিদ্র এ শিশুরা সংগ্রহ করা ধানের টাকা দিয়ে শীতের পোশাক কেনার কথা জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু-কিশোরের দল খুন্তি, কোদাল, চালুন, ডালা আর ব্যাগ নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। তাদের গায়ে কাঁদামাটির দাগ। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ থেকে কৃষকরা ধান নিয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রত্যেকের চোখ থাকে ইঁদুরের গর্ত আর ঝরে পড়া ধানের দিকে। গর্তে জমানো ইঁদুরের ধানে ভাগ বসাচ্ছে তারা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ার মতোই। প্রতিদিনই শিশুরা দল বেঁধে ছুটছে ফসলের মাঠে।
কাকিনা এলাকার কৃষক জোবেদ আলী বলেন, ‘ধান কাটার পর মাটিতে পড়ে থাকা ধান শিশু-কিশোরা সংগ্রহ করে, এতে আমরা বাধা দেই না। গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শিশুরাই দল বেঁধে ধান সংগ্রহ করে।’
মাঠে ধান সংগ্রহ করতে আসা ১০ বছরের শিশু রুবেল হোসেন বলে, ‘আমরা বিভিন্ন মাঠে ধান সংগ্রহ করে বিক্রি করি। সেই টাকা দিয়ে শীতে জ্যাকেট কিনব।’
তবে, কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, শিশুরা ইঁদুরের গর্ত থেকে যেভাবে ধান সংগ্রহ করে তা মোটেই নিরাপদ নয়।
এদিকে, জেলায় এবার ধানে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। প্রতি মণ ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে।