ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা এবং সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই নেতা শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পপি ও তার বন্ধু প্রধান ফটকে ঘুরতে যায়। ওই সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হাফিজ তার সহযোগীসহ পপিকে জেরা করে। ঘটনার এক পর্যায়ে হাফিজ ও তার সহযোগীরা তাকে হেনস্তা করে। তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এসময় তারা তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর করে।
এর আগে অভিযুক্ত হাফিজের রেফারেন্সে সায়মা ( রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী) খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নম্বর রুমের সিটে উঠে এবং ওই রুমের জানালার পাশের সিটে উঠতে চায়। এসময় পপির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পপি বলে, ‘হাফিজের গার্লফ্রেন্ড সায়মা জানালার পাশের সিট চাইলে আমি বলি সিনিয়ররা জানালার পাশে উঠতে পারে। ওখানে এক সিনিয়র আছেন, তুমি সিনিয়র হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ মেইন গেটের সামনে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও হেনস্তা করে এবং সঙ্গে থাকা আমার বন্ধুকে মারধরও করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ঘটনায় হলের ছাত্রীরা সন্ধ্যার পর থেকে হল গেটে অভিযুক্ত হাফিজের বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হল প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হলের হাউজ টিউটর এবং সহকারী প্রক্টররা ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, ওই মেয়েরে আমি চিনি না। মেইন গেটে বহিরাগত এক ছেলে ফাউল টক করায় একটু ঝামেলা বাধছিল। হলের সিটের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।’