আরও পড়ুন : পরিবেশ সুন্দর করতে গাছের বিকল্প নেই: মন্ত্রী
তবে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বাধার মুখে কাটা গাছগুলো নিতে পারেনি দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ইউনিয়নের চকিদার দিয়ে দিঘি ও কেটে নেয়া গাছগুলো পাহারা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে নির্বিচারে ঐতিহ্যবাহী ঢোল সমুদ্র দিঘির পুরাতন কড়াইগাছসহ ৩৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটে একটি চক্র। স্থানীয়রা তাদেরকে বাধা দিলেও কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি তারা। অবশেষে ঝিনাইদহ পাগলা কানাই ভূমি অফিস প্রশাসনের সহযোগিতায় কাটাগাছগুলো তাদের হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নাও হতে পারে বাংলাদেশের
এ ব্যাপারে পাগলা কানাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর দেওয়ানি ৫০/১৭ নং মামলা দায়ের করার জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে দিঘিটির ব্যাপারে ওই চক্রটি বর্তমানে কোনো তৎপরতা নেই।
আরও পড়ুন: পরিবেশ দুষণ: সীতাকুণ্ডে ৩ শিপ ইয়ার্ডকে জরিমানা
এব্যাপারে পাগলাকানাই ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা এম এ কাইয়ুম মুক্ত জানান, ঐতিহ্যবাহী দিঘিটি জমিদারদের ফেলে যাওয়া পরিত্যক্ত সম্পত্তি। দিঘিটির কোনো ওয়ারেস বা কোনো মালিক নেই। তাই দিঘিটি সরকারের উপর নিঃশর্তভাবে বর্তাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সেলিম রেজা জানান, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিলুপ্তপ্রায় শকুন সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের পুরাতন ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে অন্যতম ‘ঢোল সমুদ্র’ দীঘি। প্রায় ৫২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত এই দীঘি ঝিনাইদহের সর্ববৃহৎ দীঘি। সুন্দর এবং মনোরোম পরিবেশ বিশিষ্ট এই দীঘি। বহুবছর আগে থেকেই ঝিনাইদহে বিনোদনের একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন উৎসবে যেমন পহেলা বৈশাখ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ঈদ, বিভিন্ন পূজায় অনেক মানুষ ভিড় জমায় এই দীঘিতে। আবার অনেকেই দল বেঁধে এই দীঘির পাড়ে পিকনিক করতে আসে। প্রকৃতি প্রেমী মানুষের হৃদয় কেড়ে নেয় এই দীঘিতে। তবে দীঘি সৃষ্টির ব্যাপারে মানুষের মধ্যে আজও বিভিন্ন কৌতুহল রয়েছে।