ঝিনাইদহ
শৈলকুপায় চাঁদা না দেওয়ায় কুপিয়ে জখম
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঁদা না দেওয়ায় আলম শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতাবস্থায় আলম শেখকে শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কাঁচেরকোল ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের লুৎফর শেষের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পার কাচেরকোল গ্রামের হাজী শওকত (শহীদ) এর গরু ফার্মে কাজ করতেন আলম শেখ। সম্প্রতি ফার্মের মালিককে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের চাঁদা ধরে। চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গরু ফার্মের ম্যানেজার আলম শেখের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আলম শেখ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গরু ফার্মের মালিক শহীদকে কিছু চাঁদাবাজ চাঁদার দাবিতে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। ফার্মের মালিক দেশের বাইরে থাকায় চাঁদা না পেয়ে তারা ফার্মে উৎপাত চালিয়ে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার উদ্দেশে ফার্ম থেকে বের হন তিনি। এসময় পেছন থেকে এসে কাঁচেরকোল গ্রামের লতিফ খার ছেলে ইসমাইল, তুজাম মোল্লার ছেলে শাহিদ, নারজু শেখের ছেলে হৃদয়সহ বেশ কয়েকজন তার উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে হামলা করে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যান চালককে গুলি করে হত্যা
হামলাকারী চাঁদাবাজরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার ও শালিস ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ দিন আগে
ঝিনাইদহে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরাহীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খালিশপুর-জীবননগর মহাসড়কের কৃষ্ণচন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন— কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের বাদল রায়ের ছেলে রাজা রায় (১৮) ও একই গ্রামের মংলা রায়ের ছেলে বিধান রায় (১৭) এবং ওই উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে লিমন (১৮) যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আহত হলেন— কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আলী হোসেনর ছেলে সাজু, আজমপুর ইউনিয়নের কুলবাগান গ্রামের আনোয়ার মোল্যার ছেলে হুসাইন (১৯) ও একই গ্রামের সিয়াম (১৮)।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম জানান, দুই মটোরসাইকেলে ছয়জন আরোহী খালিশপুর বাজার থেকে জীবননগরের দিকে যাচ্ছিলেন। কৃষ্ণচন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক দুই মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই আরোহী রাজা ও বিধান মারা যান। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর ও যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইদহে পাঁচজন নিহত হয়েছে।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকে থাকা মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।
৮ দিন আগে
ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাক চাপায় নিহত হয়েছেন ইজিবাইক আরোহী মা ও ছেলে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জন শিকারী।
নিহতরা হলেন— উপজেলার শিতালীপাড়ার রিপা খাতুন (২৬) ও তার ছেলে সোয়াদ হোসেন (৬)।
স্থানীয়রা জানান, মামাবাড়ি থেকে ইজিবাইক যোগে নিজ বাড়ি শিতালীপাড়া যাচ্ছিলেন রিপা ও তার ছেলে। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের চাঁদপুর নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ইজিবাইকটিকে চাপা দিলে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সড়ক দুর্ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরে আহত সোয়াদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যার পর তিনিও মারা যান বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে ওসি মৃত্যুঞ্জন শিকারী জানান, ঘাতক ওই ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
রাতেই পরিবারের কাছে নিহতদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
৮ দিন আগে
অগ্নিকাণ্ডে ঘর পুড়ে ছাই, খোলা আকাশের নিচে ঝিনাইদহের ৯ পরিবার
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি পরিবারের ৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর ফলে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নগদ টাকা, আসবাবপত্র, কাপড়সহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাতে ওই গ্রামের কৃষক ইবাদতের বাড়ি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহুর্তেই তা আশপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ততক্ষণে ৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ দোকান ভস্মীভূত, আহত ২০
২৯ দিন আগে
ঝিনাইদহে পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি কমান্ডারসহ ৩ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডারসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার একটি ক্যানালের পাশ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন— হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের বাসিন্দা হানেফ আলী, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, একই স্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ৫ জনকে হত্যা করা হয়। সে সময় জাসদ গণবাহিনী ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: স্বামীকে হত্যার ১৪ বছর পর স্ত্রী-প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘নিহত তিনজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশে দুটি মোটরসাইকেল ও তাদের ব্যবহৃত হেলমেট পড়ে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘নিহত হানিফ প্রায় দুই ডজন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। হরিণাকুন্ডুর কুলবাড়িয়া গ্রামের আলফাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে হাসিনা সরকারের আমলে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে হানিফ এলাকায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করেন।’
৫৩ দিন আগে
ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তের গুলিতে চরমপন্থী নেতাসহ নিহত ৩
ঝিনাইদহে চরমপন্থী নেতাসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২২ ফেব্রয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর শ্মসানঘাট এলাকায় সেচখালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্যামের মৃত রাহাজ উদ্দিনের ছেলে চরমপন্থি নেতা হানিফ ও তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন। এদের মধ্যে আরকজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, গুলিবিদ্ধ ১
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ এসে লাশগুলো উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়া ব্যক্তিদের মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ১টি ম্যাগজিন, ২টি মোটরসাইকেল ও গুলি পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের ধারণা তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
৫৪ দিন আগে
ঝিনাইদহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বিএনপি সমর্থিত দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মোশাররফ হোসেন (৪২) নামে এক বিএনপি কর্মী কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রয়ারি) সকালে উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের সেতুর উপর এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- হাকিমপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন, হানেফ আলী, আব্দুল খালেক, বিলাত আলীর ছেলে আরব আলী, আব্দুল খালেকের ছেলে রবিণ, আব্দুস সোবাহানের ছেলে কাওছার মন্ডল ও তার ভাই আব্দুল আলীমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নাসির উদ্দীন ও কাওছার আলীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের মেম্বার আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, সামাজিক দ্বন্দের জেরে সোমবার রাতে বিএনপির দেলোয়ার হোসেন দলু ও সাঈদ সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাকিমপুর গ্রামের সেতুর উপর দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। আহতদের মধ্যে দলু পক্ষের পাঁচজন ও সাঈদ পক্ষের দুইজন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অতিথি করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করা হলে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত, ২৫ বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট
৬৫ দিন আগে
ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ঝিনাইদহের ১২৩ ফুট উঁচু দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন শমশেরনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শমশেরনগরের শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এরপর ভাঙচুর করা ম্যুরালগুলো বারবাজার শহরে এনে সড়কের ওপরে রেখে আগুন দিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সমন্বয় হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনা পরিবারের কোনো ম্যুরাল থাকবে না, থাকবে না ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নও।’ এজন্য শেখ মুজিবের ওই ম্যুরালগুলো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন শমশেরনগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের এই শেখ মুজিব টাওয়ার তৈরি করেছিলেন।
৬৯ দিন আগে
ঝিনাইদহে বয়লার বিস্ফোরণে ২ শ্রমিক নিহত
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন।মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বলুহর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন—কোটচাঁদপুর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মিল্টন (২৬) ও একই গ্রামের ক্ষিতিশের ছেলে রাম কুমার (৫৫)।স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার মিজানুর রহমানের কাঠ ডিজাইন কারখানার বয়লারে কাঠ দিয়ে তাপ দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ সেটার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই কারখানার মিস্ত্রি মিল্টন ও রাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।আহত হন আরও দুজন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোরে পাঠানো হয়।কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। দুজন মারা গেছেন আর দুজন আহত হয়েছেন। বয়লারে অতিরিক্ত তাপ দেওয়ার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।
৯২ দিন আগে
ঝিনাইদহে ৩০ শতক পানের বরজে আগুন, লাখ টাকার ক্ষতি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটীয়া ইয়নিয়নে ৩০ শতক পানের বরজে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কেসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের রশিদুল ইসলাম কুটির পান বরজে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
পান চাষি রশিদুল ইসলাম কুটি ওই গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পান চাষি রশিদুল ইসলাম কুটির বরজে আগুন দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে নেভানোর চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রশিদুলের ৩০ শতক পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পান চাষী রশিদুল বলেন, তারা শুধু পান বরজ পুড়িয়েই ক্ষান্ত হয়নি। তারা আমার গোয়ালের চারটি গরুর খাবারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে গেছে। চারটি গরুই চিকিৎসাধীন। এই আগুনে ৩ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছুদিন আগে আমার ভাই জাহিদের একটি ট্রাক এবং আমার মাইক্রো গাড়ির টায়ারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ৫৭ ঘর
শত্রুতামূলকভাবে কে বা কারা এসব করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।
তিনি মনে করেন স্থানীয় বিরোধ ও আওয়ামী লীগের সমর্থন করতেন বলে ক্ষতি করা হচ্ছে। কারো প্রতি সন্দেহের কথাও জানাতে চাননি রশিদুল।
থানায় অভিযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব? আমিতো কাউকে দেখেনি, কারা এসব করছে।’
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, পানের বরজে আগুনের ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। ক্ষতিগ্রস্ত রশিদুল অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২
১০৯ দিন আগে