বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। দুই ঘণ্টা পর অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার পৌরসভা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে ব্যবসায়ী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) পংকজ বড়ুয়া, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনির উল গীয়াস, যমুনা টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি নুরুল করিম রাসেল, সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
ব্যবসায়ীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এস্কেভেটর দিকে যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয় ঠিক তখনই তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তারা কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেন।
সুগন্ধা সড়কের পূর্ব প্রান্ত থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে।
উচ্ছেদ অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার ছিলেন উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ জানান, ক্রমান্বয়ে কক্সবাজারের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘গত ১ অক্টোবর উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ৫২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের আগে তাদের মালামাল সরানোর জন্য সময় দেয়া হয়েছিল।’