তারা হলেন- কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দীনের ছেলে নেছার আহমেদ (৬৫), একই উপজেলার শ্রীকলা গোবিন্দপুর গ্রামের আহাদুল্লাহর ছেলে জামাত আলী (৭০) ও মৌতলা দুদলী গ্রামের মমতাজ উদ্দীনের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন(৭৮)।
এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ৮৭ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ২৯ জন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের নেছার আহমেদ গত ২৩ আগস্ট দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, একই উপসর্গ নিয়ে গত ২০ আগস্ট সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন একই উপজেলার শ্রীকলা গোবিন্দপুর গ্রামের জামাত আলী। তিনিও সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে মারা যান।
এছাড়া, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২০ আগস্ট দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন একই উপজেলার মৌতলা দুদলী গ্রামের ফিরোজা খাতুন। তিনি সকাল ৯টার দিকে মারা যান।
মৃত তিনজনেরই নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের বাড়ি লকডাউনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।