তারা হলেন- চসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র এবং স্টোর কিপার মহসিন কবির।
মঙ্গলবার রাতে চসিকের সচিব স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চসিক পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চসিকের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এনে ১৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
বরখাস্ত হওয়া ১০ চিকিৎসক ও একজন স্টোর কিপার আইসোলেশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এ কারণে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তের আগে তাদের কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এসব চিকিৎসক অস্থায়ী (নো ওয়ার্ক নো পে) ভিক্তিতে চাকরি করে আসছিল। তাই তাদের কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়নি।
চসিক সূত্রে জানাগেছে, ১০ চিকিৎসক ও এক জন স্টোর কিপার এই আইসোলেশন সেন্টারে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় নির্ধারিত সময়েও এটি চালু করা যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারে অবাধ্য এসব চিকিৎসককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন,‘যারা মানব সেবা করার শপথ নিয়ে বিপদের সময় অমানবিক কাজ করছেন, সিটি করপোরেশনের চিকিৎসক হয়ে অফিস আদেশ মানেননি, তাদের চাকরি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দেয়া হবে। মেয়র মহোদয় দ্বিগুণ বেতন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সকল সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরপর কাজে যোগ না দেয়া খুবই দুঃখজনক।’
‘প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষায় ও অমানবিক কাজ করায় দশ চিকিৎসক ও একজন স্টাফকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে মোট ১৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে একজন অসুস্থ আর পাঁচজন আছে। এখন নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে তাদের ট্রেনিং দিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।