বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউনস’ নির্মাণের জন্য একটি টানেল প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের দিকে।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (সরকার থেকে সরকার - জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে।
মূল সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার, দুটি চার লেনের টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।
এছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার থাকবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেল: পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩ মিনিট
টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে অবস্থিত।
টানেলের আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাঠগড় রোড, এয়ারপোর্ট রোড ও পতেঙ্গা বিচ রোড থেকে টানেলের উত্তর পাশ দিয়ে যানবাহন প্রবেশ করবে।
প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোলের হার চূড়ান্ত
২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের