কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে জনপদ।
জেলার সড়ক ও নৌপথে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হয়েছে ও হচ্ছে চলাচল ব্যবস্থা। দিনের বেলা সড়ক পথে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো।
এদিকে গত ৩ দিন ধরে কনকনে ঠাণ্ডায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষজন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারণে পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছেন তারা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা ঠিক থাকলে রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানান অফিসটি।
আরও পড়ুন: শীতে কাবু কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় সাড়ে ৪শ’ চরাঞ্চলের শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে।তীব্র ঠাণ্ডায় সবজি খেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা নিয়ে তাদের দুঃশ্চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত কনকনে ঠাণ্ডা এবং দিনের বেলাও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলেতো পেটে ভাত জুটবে না।’
ধরলার পাড়ের নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২-৩ দিন ধরে খু্ব ঠাণ্ডা পড়তেছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা বরফের মতো ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, ‘জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত