তাদের ১০ জনের সাথে ইউএনবির প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। কারো ভিক্ষে না করলে চুলা জ্বলে না। তারা বয়স্ক ও বিধবা তালিকায় ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত হলেও তা পাচ্ছেন না।
অভিযোগ রয়েছে ভাতা দেয়ার কার্ড দিবে বলে নেতারা কয়েকজনের থেকে টাকাও নিয়েছেন। যদিও তারা ভাতা পাননি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পেয়ারা বেগম (৬৫), স্বামী: মৃত: আবদুস সালাম, এক ছেলে, এক মেয়ে, কোনো ভাতা পান না, একটি ঝুপড়ির মতো ঘর আছে। মনোয়ারা বেগম (৬৩), স্বামী: মৃত: মোসলেম মিয়া, একটি ছেলে, কোনো ভাতা পান না। ফাতেমা বেগম (৬০), স্বামী: মৃত এছাক মিয়া, একটি ছেলে, দুটি মেয়ে, কোনো ভাতা পান না। আসিয়া বেগম (৬২), স্বামী: মৃত: গোলাম মিয়া, একটি ছেলে, দুটি মেয়ে, ছেলে কোমর ভেঙে ঘরে পড়ে আছে, কোনো ভাতা পান না। ভানু বিবি (৪০), স্বামী: জাহাঙ্গীর আলম, স্বামী একটি কন্যা সন্তান রেখে পালিয়ে যায়, থাকার কোনো ঘর নেই, কোনো ভাতা পান না।
আকলিমা বেগম (৪০), স্বামী মৃত: আবুল কালাম। তার তিনটি ছেলে, ছেলেরা ছোট, কোনো ভাতা পান না। জোসনা বেগম (৩২), স্বামী: আলমগীর হোসেন, ছেলে তিনটি, কোনো ভাতা পান না। আব্দুর রহমান (৪০), পিতা মৃত: আইয়ুব আলী, তিনটি ছেলে, চারটি মেয়ে, তার একটি ভাতা কার্ড আছে, তবে থাকার ঘর নেই। ফুল হক (৭৫), পিতা: মৃত: আইয়ুব আলী, একটি ছেলে, চারটি মেয়ে। কোন ভাতা পান না। হালিমা খাতুন (৩২), স্বামী মৃত: জসিম উদ্দিন। একটি মেয়ে, তার থাকার ঘর নেই, কোনো ভাতা পান না।
পেয়ারা বেগম বলেন, ‘হাত পেতে জীবন চলে। বয়স হয়েছে। এখন আর পা চলে না। একটি ঘর আর ভাতা পেলে শান্তিতে থাকতে পারতাম।’
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুদুল হক বলেন, ‘এ গ্রামে আগের মতো অভাবী লোক নেই।’
যদিও সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
লাকসাম উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ভিক্ষুকদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা নেই। তবে তাদেরকে বয়স্ক তালিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অসহায় লোকজন যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’