শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি তার কর্মস্থলযশোর থেকে নিজ গ্রামে আসেন। তিনি একইএলাকারমৃত কিতাব উদ্দিনের ছেলে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় আসা আশরাফুল ইসলাম নামে এক আনসার সদস্য জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার বিকালে মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য শনিবারঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত করা যাবে তার করোনা পজেটিভ ছিল কিনা।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম কারিগর পাড়া গ্রামেরজিয়াউর উদ্দিন (৩০) নামে এক দিনমজুর জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়েমারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সে ওই গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার বিকালে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে।পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই শ্রমিকের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জিয়াউর উদ্দিনের স্বজনরা জানান, সে হাঁপানির রোগী ছিল এবং মাঠে দিনমজুরের কাজ করত। কোনো বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শেও সে যায়নি বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার জানান, মৃত ব্যক্তির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জিয়াউরের বাড়িসহ প্রতিবেশীদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের দুটি গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে বেশ কয়েকজন ওই দুই গ্রামে আসার কারণে গ্রামদুটি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান।
প্রসঙ্গত, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। এছাড়া দেশে এ পর্যন্ত মোট ৪২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।