এদিকে, পানিবন্দী পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। বন্যার্তরা সাময়িক পানীবন্দী অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পেলেও এখন ভাঙা বাড়িঘর ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। ফুরিয়ে যাওয়া গবাদি পশুর খাদ্য নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। এছাড়াও আসন্ন ঈদের আগে তারা পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমনের বীজতলা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বানভাসি কৃষকরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, প্রথম দফা বন্যায় ৯ উপজেলার ২২ ইউনিয়নের মোট ১৬ হাজার ১০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১১ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৫৬ ইউনিয়নে ৬৩ হাজার ১৩০ পরিবার পানিবন্দী হয়। বন্যায় পানিতে ডুবে মারা যায় ৮ জন।
সর্বগ্রাসী বন্যায় ৩২টি পয়েন্টে ৭ কিলোমিটার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। বীজতলা, আউশ, পাট, মরিচ ও শাক-সবজিসহ ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৭৬৭ হেক্টর জমির ফসল।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বন্যার্তদের সহযোগিতায় রেসকিউ টিম, ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৩৬টি গুচ্ছগ্রাম ও ২৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। জনস্বাস্থ্য থেকে দুটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ১৬০টি নলকূপ পরিদর্শন, দুটি নলকূপ স্থাপন, ৪ হাজার ২৭০টি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ৬৮টি জেরিকেন সরবরাহ করা হয়।
বর্তমানে ১৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮৫৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫২৫টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।