ব্রহ্মপুত্র নদ
ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটিরচর নওপাড়া গ্রামের লাটিয়ামারি বাজারসংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে জমিতে কাজ করতে আসা কয়েকজন কৃষক লাশটি দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
তারা আরও জানান, উজান থেকে লাশটি ভেসে এসে থাকতে পারে। তাদের ধারণা, আনুমানিক দুই-তিন দিন আগে থেকে লাশটি পানিতে ভাসছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, পাঞ্জাবি পরিহিত ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, পরিচয় শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা চলছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কুশিয়ারা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে গাছে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিতরা
ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই বন্যার পানি। পানির তোড়ে ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর, ক্ষেতের ফসল আর সব। তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। সুপেয় পানির অভাব তীব্র হচ্ছে দুর্গতদের মাঝে।
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের খেয়ার আলগা চরের বাসিন্দা সাহেরা বেগম বলেন, 'হামার ঘরত পানি উঠছে, মানুষের বাড়িত আশ্রয় নিছি আজ দুই দিন হলো। নদীর পানি আজ সকালেও এক হাত বাড়ছে। কিন্তু খাওয়ার পানির খুব কষ্ট হইছে।’
সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, 'আজ পাঁচ দিন থেকে বন্যার পানিত খুব কষ্টে চলাচল করছি। নৌকা ছাড়া বের হতে পারছি না। যে হারে পানি বাড়তেছে জানি না কী হবে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামে সবগুলো নদ-নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করছে। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসলি জমি, আমন ধানখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কী দিয়ে কাটবে বছর, তারই চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের।
এ ছাড়া, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান উৎসবে ঢল
কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব।
বুধবার ভোর থেকে এ উৎসব শুরু হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ পূর্বপুরুষ ও নিজেদের পাপমোচনের আশায় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রমনা ঘাট থেকে রাজারভিটা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারব্যাপী এলাকায় গিয়ে এ স্নানে অংশ নেয় লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ।
তবে এবারে পূণ্যস্নান বুধবার হওয়ায় পূণ্যার্থীর সংখ্যা দিগুন হয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা। স্নান উৎসবে রংপুর বিভাগের সকল জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলার সনাতন ধর্মের মানুষেরাও অংশ নিয়ে থাকে।
স্নান উৎসব নির্বিঘ্নে করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার পাশাপাশি পূণ্যার্থীদের পোষাক পরিবর্তনে বুথসহ অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব শুরু
১ বছর আগে
ব্রহ্মপুত্র থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্ক সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে জয়নুল আবেদীন পার্ক এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাজমিরের বাড়ি জামালপুর জেলায়।
আরও পড়ুন: চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে লাশ হলো সুরভী!
কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা দুপুরে জয়নুল আবেদীন পার্ক এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাটে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ মৃত তাজমিরের বাবা আব্দুল্লাহ বাবুর বরাত দিয়ে জানান, তার ছেলে তাজমির কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। সে ময়মনসিংহের মারকাস মসজিদের এস্তেমায় যোগ দিতে এসেছিল। সেখান থেকে শনিবার ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আসে। পরে গতকাল থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রবিবার পুলিশের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় এসে তার লাশ দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে তাজমিরের বাবা আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
জৈন্তাপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
নৌকাবাইচ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ: চাচা-ভাতিজাসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
নৌকাবাইচ দেখতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সাহেবচরে নৌকাডুবিতে চাচা-ভাতিজাসহ নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের সেতুর কাছ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: গড়াই নদীতে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১
নিহতরা হলেন-কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে শামীম মিয়া (৩০), ময়মনসিংহের পাগলা থানার চরশাখচুড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. সিফাত (১৬) ও একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে নিহত সিফাতের ভাতিজা মো.ইয়াছিন (৭)।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
হোসেনপুর থানার পরিদর্শক আসাদুজ্জামান টিটু জানান, বুধবার সকালে ব্রিজের কাছে দু’জনের লাশ ভেসে ওঠলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি: স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী নিখোঁজ
গত ১৯ সেপ্টেমর বিকালে হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে নৌকাডুবি ঘটনা ঘটলে তারা নিখোঁজ হন।
২ বছর আগে
নৌচলাচল নিশ্চিতে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সুস্থ ও সচল রাখতে হলে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে বলে মনে করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নাব্যতা না থাকায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা হয়েছে। নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বেশ কিছু ড্রেজার সংগ্রহ করছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে পদক্ষেপ আর দেখা যায়নি। ব্রহ্মপুত্র নদে একসময় বড় বড় জাহাজ চলত। খননের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নয়, অন্যান্য নদী খননে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ব্রহ্মপুত্র নদে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং সারাবছর নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্রহ্মপুত্র নদকে দ্বিতীয় শ্রেণির রুট হিসেবে উন্নত করলে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের মুখ খুলে দিলে তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ কমে যাবে, বড় ধরনের সাফল্য আসবে, এটি একটি বড় প্রকল্প চলমান চ্যালেঞ্জ। নিচের দিকে অনেক খনন হয়েছে, মুখ খুলে দিতে পারলে সাফল্য আসবে।বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রথম সচিব, আইডব্লিউএম 'র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নদী খননের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের বিষয়টি উল্লেখ করেন। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার বা দল নৌপথ খননে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বেড়ে গেছে। নৌপথে পণ্য পরিবহনে খরচ কম। অভ্যন্তরীণ নৌপথে নাব্য বজায় থাকলে সমুদ্রবন্দরগুলো অনেক বেশি গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে, নিচু এলাকা প্লাবিত
গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত না হলেও সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ঘাঘট নদী এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার চার উপজেলার নিচু এলাকার অন্তত ৩৫ চরে হাটু ও কোমর পানিতে ডুবে গেছে।
সোমবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে গাইবান্ধা শহরের ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজজ্জামান জানান, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, বেলকা, শ্রীপুর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানিতে ডুবে গেছে। অনেকেই নদীর ডানতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকেই স্বজনদের বাড়িতে চলে গেছে।
তিনি বলেন, বন্যার পানিতে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ফুলছড়ির কঞ্জিপাড়া, উড়িয়া, ফুলছড়ি, গজারিয়াসহ অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। চরাঞ্চলে বন্যা শুরু হলেও জানমাল বাঁচাতে লোকজন বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
২ বছর আগে
ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে নিখোঁজের দুই দিন পর ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে জামালপুর সদরের কোচনধরা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত জাহিদ ফয়সাল ফাহিম (২৫) উপজেলার কানিল গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং নান্দিনা সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসে ঝর্ণার পানিতে ডুবে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে চার বন্ধু মিলে ব্রহ্মপুত্র নদের নরুন্দি কোচনধরা এলাকায় নৌকা ভ্রমণে যায় ফাহিম। মাঝপথে নৌকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ফাহিম নদের পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। কিন্তু দুদিন ধরে সন্ধান করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরে শনিবার সকালে ডুবে যাওয়া স্থানেই ফাহিমের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের হাওড়ে ছাত্রলীগ নেতার ভাসমান লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশের দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
কুড়িগ্রাম সদরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে ছয় বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশু জান্নাতি উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলা কাটা চর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে শিশু নিখোঁজ
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, শিশু জান্নাতি শনিবার দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাতে সেখানে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: ধলাই নদে ২ শিশু নিখোঁজের ঘটনাটি গুজব
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, একটি শিশু ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২ বছর আগে
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে ধরা পড়লো ১৭ কেজির বাঘাইড়
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে ১৭ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় জেলে আছর উদ্দিনের জালে এ মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে আছর উদ্দিন উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর বাগুয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা।
জেলে আছর উদ্দিন মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে সাতদরগাহ বাজারে নেয়। সেখানে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ৮০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন উলিপুরের মাছ ব্যবসায়ী আওলাদ মিয়া। এরপর উলিপুর পৌর বাজারে মাছটি এক হাজার টাকা কেজি দরে মোট ১৬ হাজার টাকায় খুচরা বিক্রি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ-এর ক্ষতিকর দিক
জেলে আছর উদ্দিন জানান, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক জেলেদের জালে প্রায়ই বিভিন্ন ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ছে। বাজারে এ মাছের চাহিদাও রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিতই বড় বড় বাঘাউড় মাছ ধরা পড়ছে। এতে জেলে ও ব্যবসায়ীরা উভয়ই খুশি।
আরও পড়ুন: পাথরঘাটায় ৪টি মাছের দাম ১৬ লাখ টাকা
২ বছর আগে