আশ্রয়কেন্দ্র
কসবায় প্লাবিত ৩২টি গ্রাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্তবর্তী বায়েক ও গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে কসবা-নয়নপুর সড়ক ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে জনদুর্ভোগ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র হলেও অধিকাংশ মানুষই পানিবন্দি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সালদা নদীর পানি বেড়ে রাস্তার ওপর উঠে যায় এবং বাড়িঘর ডুবে যায়। মানুষ ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে থাকেন। রাস্তাঘাট বাড়িঘর তলিয়ে কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর থেকে বুক অবধি পানি।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু, ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বায়েক ইউনিয়নের ৩৪ গ্রামের মধ্যে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। এদিকে খাবারের অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। এছাড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া আটকা পড়া পানিবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলায় ৫ জন নিহত
২ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৫ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনা উপকূলে দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পাঁচটি উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলের মানুষ। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রবিবার সকাল থেকে দাকোপ ও কয়রার ঝুঁকিপূর্ণ অংশ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অতি ভাঙন প্রবণ এলাকায় বাঁশের বেড়া তৈরি করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ১০ নম্বর বিপৎসংকেত ঘোষণার পরই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং শুরু হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
চালনা মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, খুলনার উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ আপদকালীন সাহায্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১০ টন চাল পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত: কোন সংকেতের কী অর্থ?
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
৫ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মহানগরে ১১৬টি এবং জেলায় ৪৯৩টি। এছাড়া ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলার ত্রাণসামগ্রী মজুদ পরিস্থিতি সভায় উপস্থাপন করেন।
সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণ হিসেবে নগদ ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, চাল ২৪৪ মেট্রিক টন, গোখাদ্যের জন্য ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য বাবদ ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ৪৭২ ব্যাগ, কম্বল ১ হাজারটি এবং ৪৭ হাজার ওরস্যালাইন মজুত আছে।
সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনের নিরিখে এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকের বাস ভবন থেকে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি ওই সভায় চট্টগ্রামের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিও, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
জেলা প্রশাসক জরুরি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সিটি করপোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সব দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সঙ্গে এবং জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নম্বরে যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমাদের বিভিন্ন টিম মাইকিং করেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সব পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে: প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড় ও টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে এক দাপ্তরিক আদেশে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেটের পাহাড় ও টিলার পাদদেশ এবং নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদেরকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
১ বছর আগে
সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মোখা আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সি অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই।
তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, সাত মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোন কারণ নেই ।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ বছর আগে
দেশে আরও ১০০০ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে: এনামুর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান শুক্রবার বলেছেন, সরকার আরও এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভোলার মনপুরায় সিত্রাং আঘাত হানা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানলে আমরা দেখতে পাই যে আমাদের যতটা আশ্রয়কেন্দ্র দরকার ততটা নেই। তাই অনেক স্থাপনাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করতে হয়।’
সোমবার ভোলায় আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২২০টি নতুন সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫৫০টি মুজিব কেল্লা (বিশেষভাবে নকশা করা বহুমুখী সাইক্লোন সেন্টার) নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলার চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে বিসিজি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
সিত্রাং: ভোলায় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
২ বছর আগে
ভোলার চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে বিসিজি
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর পাতিলা থেকে সোমবার ১১০ জনকে সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি)।
দুটি অভিযানে বিসিজি সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
কোস্ট গার্ডের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ ত্বকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা করার জন্য ও এর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অধীনে বিসিজি ফাঁড়ির চর মানিকার উদ্ধারকারী দল দুই ধাপে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করে।
আরও পড়ুন: প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে সিত্রাং
তাদের সবাইকে দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিসিজি পূর্ব জোনের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কাজী আল আমিন জানান, দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৯কোটি টাকার কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস কোস্টগার্ডের
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেঁয়ে আসার খবরে বাগেরহাটের উপকূলবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করেছে মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
জানা যায়, জেলার শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় মাইকিং করে দুর্গত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বলা হচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ আট হাজার ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। একই সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদী পশু আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, বাগেরহাটে এই মুহূর্তে মাঝারি ধরণের ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে দমকা বাতাস হচ্ছে, বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চলে এরই মধ্যে পানি জমতে শুরু করেছে। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের দুবলারচার এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। মোংলা বন্দরে জাহাজে মালামাল উঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। বন্দরের সব ধরণের নৌযান নিরাপদে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
এদিকে, বাগেরহাটে নদী পাড়ের ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়াও, জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন এলাকায় নদী পাড়ের ১০০ কিলোমিটার বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানলে এবং জলোচ্ছ্বাস হলে বাগেরহাটে সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি, আমন ধান, বিভিন্ন ফসল ও বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করায় জেলার উপকূলবর্তী চারটি উপজেলায় মাইকিং করে দুর্গত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিকালের মধ্যে দুর্গত এলাকার সব মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে। শুকনা খাবার প্রস্তুত, মেডিকেল টিম গঠন, উদ্ধারকারি টিমসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বরিশালে ১০৫২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ৬৬ টি মেডিকেল টিম, উদ্ধার মোকাবিলায় রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপিসহ তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ২৬০ মেট্রিক টন শুকনো খাবার ও নগদ পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মজুত রাখা হয়েছে। সোমবার থেকে উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
এছাড়া, সার্বিক তত্ত্বাবধানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ
সিত্রাং: মোংলা-পায়রায় ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে প্রাণহানি এড়াতে খুলনায় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জরুরি শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে যারা আসবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য কাজ চলছে।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বিশেষ কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের যাতে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া যায়-সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে দাকোপে ১১৮টি, বটিয়াঘাটায় ২৭টি, কয়রায় ১১৭টি, ডুমুরিয়ায় ২৫টি, পাইকগাছায় ৩২টি, তেরখাদায় ২২টি, রূপসায় ৩৯টি, ফুলতলায় ১৩টি ও দিঘলিয়ায় ১৬টি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় রবিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ উপকূলের ১৯টি জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
খুলনা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, সাগরে রাতে সিত্রাং নামের ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। তবে খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব শুরু হয়েছে। ভোর রাত ৩টা থেকে উপকূল এলাকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সকালে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
সোমবার সকালে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার: ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বরিশালে ১০৫২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
২ বছর আগে