কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হয়েছে। এ অবস্থায় অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, ‘আজ অনেক কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, সেই সঙ্গে খুব ঠান্ডা। আমরা বয়স্ক মানুষ, আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই এলাকার হোটেল শ্রমিক শাহিন আলম বলেন, ‘কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা, আমার কাজ করা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ করাই লাগে আমাদের।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, ‘আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা