কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কম থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। দুইদিন থেকে সৃর্যের দেখা না মেলায় ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন তারা।
বিশেষ করে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে আছেন শ্রমজীবীরা।
অপরদিকে, স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের চরে কয়েকদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, নদীর পাড়ে সব সময় বাতাস থাকে। বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা বেশি।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত। এখানে অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। নির্বাচনের আগে সরকারিভাবে মাদরাসার শিশুদের জন্য ৪০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মাত্র ৮০টি কম্বল বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসলে আমার এখানকার চরের মানুষ উপকৃত হতো।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন এমন থাকবে। পরে একটু উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ‘সদর উপজেলায় শীত নিবারনে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে শীতবস্ত্র মজুদ নেই। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পেলে বিতরণ করা হবে।’