রবিবার দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয় থেকে জুম অ্যাপের মাধ্যমে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন।
খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তে সরকার সব কিছুই করছে। শিশুরা যদি আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যে বেঁচে থাকে তাহলে তারা দেশ ও জীবনকে ভালবাসে। দেশের এই প্রথম কোনো জেলায় এ ধরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
এই উদ্যোগের জন্য মন্ত্রী খুলনা জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। যার যার অবস্থান থেকে কাজ করলে দেশ সামনে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং খুলনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুর রহমান।
খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খান মো. মোতাহার হোসেন।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দাকোপের বানিয়াশান্তা যৌনপল্লীর শিশুদের আবাশিক শিক্ষা ও পুনর্বাসনের উদ্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্প্রসারণ এবং হোস্টেল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় এক কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮ টাকা।
যৌনপল্লির শিশুদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি, অপরাধ প্রবণতা হ্রাস এবং শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য্।