বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্তি ও মিয়ানমারে গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ ও র্যালি করেছে রোহিঙ্গারা। এসব সমাবেশে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন স্থাপন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, শফিউল্লাহ কাটা, বালুখালী, জামতলি, হাকিমপাড়া, মধুরছড়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে ১২টি সমাবেশ করেছে। এসব সমাবেশকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
২৫ আগস্টকে ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড ডে’ (রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস) আখ্যায়িত করে তারা নিজ ভূমি মিয়ানমারের আরাকানে ফিরে যেতে চায় এবং গণহত্যার বিচার দাবি করেন।
রোহিঙ্গা আগমনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট প্রথম বড় ধরনের সমাবেশ করেছিল রোহিঙ্গারা। ওই সমাবেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা উপস্থিত হয়েছিল। ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মাস্টার মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন:অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
এরপর গত দুই বছর রোহিঙ্গারা সমাবেশ করতে পারেনি। এ বছর সরকার বিভিন্ন ক্যাম্পে পৃথক পৃথক সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।
২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সমাবেশে অবিলম্বে প্রত্যাবাসন শুরু করা, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, ১৯৮২ সালের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ফিরিয়ে দেয়া, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন প্রতিষ্ঠাসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এসব দাবি বাস্তবায়নে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় সমাবেশে।
কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এআরএসপিএইচ’র সেক্রেটারি মাস্টার জোবাইর, মাস্টার নুরুল আমিন, মোহাম্মদ রফিক, জুমাদিলা বেগম প্রমুখ।
এসব সমাবেশে রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের ডিসি-এসপি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল