গণহত্যা
গণহত্যা মামলায় আমু-কামরুল কারাগারে
গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমু ও কামরুলের বিচার করতে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল কারাগারে
আদালতের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১৭ অক্টোবর একটি মামলায় দুজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সেখানে মোট আসামি ছিলেন ৪৫ জন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আরেকজন হলেন কামরুল ইসলাম।’
মামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রসিকিউটর বলেন, ‘কামরুল ইসলাম ও আমির হোসেন আমু ১৪ দলের সমন্বয়ক থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চলাকালে গণভবন একটি মিটিং হয়। সেই মিটিং তারা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন এবং সেই বৈঠক থেকে কারফিউ জারি ও দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই ২০ জুলাই থেকে বহু মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর দায় তারা এড়াতে পারেন না। সেই মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা কেউই দায় এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকা অবস্থায় তার দল ছাত্র-জনতাকে দলীয় সিদ্ধান্তে হত্যার নির্দেশ দেয়। তার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-২ আসনে বহু ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর গ্রেপ্তার শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে।
শীর্ষ এসব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জামিন নামঞ্জুর, সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন কারাগারে
২ সপ্তাহ আগে
জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কথা না বলে যারা তাকে ও তার দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলে, আমরা মনে করি তারাও ফ্যাসিস্টদের দোসর।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকারী খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণকালে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
সারজিস বলেন, যে নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার আগেই বাবাকে হারালো, তাকে আমরা কি জবাব দেব? আমরা সহজে সব ভুলে যাই। ১৬ বছর ভুলে যাই, গুম খুন হত্যা ভুলে যাই। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ এবার আর ভুল করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব। আর কোন ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।’
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগে মোট শহীদ হওয়া ৩১৪ জনের মধ্যে ৭৯ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তার চেক দেওয়া হয়।
শহীদ পরিবারের অনেকে ঢাকায় নিবন্ধন করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সকল শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন এবং সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে: সারজিস
৪ সপ্তাহ আগে
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৫ অভিযোগ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগগুলো দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
গত ২০ জুলাই সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর গুলিতে কলেজছাত্র শহীদ নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব ও শহীদ জুবায়েরকে হত্যার ঘটনায় রাকিবের বাবা আব্দুল হালিম ও জুবায়েরের বাবা আনোয়ার উদ্দিন শেখ হাসিনাসহ ৬৫ জনকে আসামি করে অভিযোগটি দায়ের করেন।
১৯ জুলাই বাড্ডা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র মো. মারুফ হোসেনকে (১৯) পুলিশ গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিস শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
১৯ জুলাই উত্তরা আব্দুল্লাপুর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী শহীদ ফয়সাল সরকারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার বাবা শফিকুল ইসলাম সরকার শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্র শহীদ মাহফুজুর রহমানকে (১৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার বাবা আব্দুল মান্নান শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ৫ আগস্ট উত্তরা (আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে) সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শহীদ সামিউ আমান নুরকে (১৩) গুলি করে হত্যার অভিযোগে তার বাবা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১) (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন’
দিনাজপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা
৩ মাস আগে
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে 'গণহত্যা’: শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে এ মামলা করেন ।
বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে মতিঝিল থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা, সাবেক এমপি শিমুলসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহাবুব খন্দকার, তৎকালীন র্যাবের প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, তৎকালীন ডিসি মোহাম্মদ বিপ্লব কুমার সরকার, মতিঝিল থানার তৎকালীন ওসি ওমর ফারুক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনসুর আহমেদ ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্লগারদের ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম ১৩ দফা দাবি জানায়। সরকার দাবি না মানায় ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য অবস্থান নেয় তারা।
বাদী আরও বলেন, ‘সেদিন রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্র ও পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলা হয়।’
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৪ মাস আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ-গণহত্যা: শেখ হাসিনা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আইসিটির
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা (আইসিটি)।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবির এবং মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তানিম অভিযোগগুলো দায়ের করেন।
মামলার আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো.হারুন অর রশিদ।
এসব অভিযোগে অজ্ঞাতনামা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, পুলিশ ও র্যাবের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন। সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, কোটা সংস্কার ও পরে হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শান্তিপূর্ণ, নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তিদের নির্দেশেই এই সহিংসতা চালানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা বিক্ষোভকারীদের আংশিক বা পুরোপুরি নির্মূল করার চেষ্টার সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
অভিযোগপত্রে ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের অন্যান্য নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ওই বক্তব্যগুলোকে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মোকাবিলায়’ছাত্রলীগই যথেষ্ট এবং কারফিউ চলাকালীন দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আইসিটি সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত শত শত হত্যাকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংস্থাটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতাউর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার(১৫ আগস্ট) তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। গণহত্যার অভিযোগ যেহেতু সাম্প্রতিক ঘটনা, তাই প্রমাণ পেতে সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘মামলার অনেক আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ফলে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের তাড়াহুড়ো করতে হবে না। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও এই মামলায় একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং সংস্থাটি ঘটনার সময় পত্রিকা সংগ্রহ করে পর্যালোচনা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের
৪ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে 'গণহত্যার' তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘে বিএনপির চিঠি
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার যে 'গণহত্যা' চালিয়েছে তার আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইসের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে 'অবৈধ' আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও হত্যার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটনের জন্য বিএনপি জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে।
চৌধুরী বলেন, চিঠিটি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল, দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ
৪ মাস আগে
গণহত্যা করে সরকার গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে 'গণহত্যা' চালিয়ে সরকার এখন 'গণশত্রু' হয়ে যাওয়ায় তাদের অস্তিত্বের সংকট ক্রমেই গভীর হচ্ছে।
বিবৃতিতে 'ফ্যাসিবাদী' আওয়ামী লীগ সরকারকে অপসারণ করে সকল অন্যায়ের অবসান ঘটাতে রাজপথে চলমান ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সরকার ইতিহাসের নির্মম ও বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন দমন করতে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শাস্তিযোগ্য।
ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মুখে দিশেহারা ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সরকারের পতন কোনো কিছুই ঠেকাতে পারবে না, যতই নির্লজ্জভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় মানুষকে গ্রেপ্তার করুক না কেন।
তিনি সরকারের অন্যায়, অপকর্ম ও গণহত্যার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে সোচ্চার হওয়ার জন্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রশংসা করেন।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের নিঃশর্ত মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, জমায়েতের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতে ‘জাতীয় ঐক্যের’ আন্দোলন শুরু বিএনপির
তিনি বলেন, সরকার আইন, সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করে জনরোষ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যা খুশি তাই করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ জনগণের সাংবিধানিক অধিকারগুলোকে নির্মমভাবে ক্ষুণ্ন করে দেশকে একটি স্বৈরাচারী ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুম করা হচ্ছে। ‘অনেক বাবা-মা ও অভিভাবক তাদের সন্তান ও শিক্ষার্থীদের কোনো হদিস পাচ্ছেন না।’
ফখরুল বলেন, নিরাপত্তার নামে সরকার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়কদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিম্মি করে রেখেছে। ‘কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়াই এ ধরনের কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন।’
তিনি বলেন, নির্লজ্জ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ব্যবহার করে গণহত্যা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পর রাষ্ট্রীয় শোকের নামে মায়াকান্না করছে। ‘তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই ভান প্রত্যাখ্যান করে গতকাল (মঙ্গলবার) নজিরবিহীন লাল ডিজিটাল প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে, যা জনগণের ঐক্য প্রদর্শন করেছে।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর মায়াকান্না জনগণের সঙ্গে প্রতারণার আরেকটি নজির: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ হত্যাকারী সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের রাষ্ট্রীয় শোকের ভানকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার ও গ্রেপ্তার করেছে। ‘আমরা পুলিশের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গোলাগুলির প্রমাণ পাওয়া গেলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নিজেদের রক্ষার চেষ্টায় তারা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে বিরোধীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র-মিথ্যাচার করছে, পদত্যাগ করা উচিত: ফখরুল
৪ মাস আগে
রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত
সোমবার (২৫ মার্চ) সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ গণহত্যা দিবস
দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপ প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন রিয়াদে বাংলাদেশি কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা
বক্তারা সবাই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
৮ মাস আগে
আজ গণহত্যা দিবস
দেশে আজ গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জনগণের ইচ্ছাকে দমনের চূড়ান্ত উপায় হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এরপরও মাত্র ৯ মাসেরও কম সময়ের যুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর বিজীয় আওয়াী লীগকে ক্ষমতা গ্রহণে বাধা দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়নে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
'অপারেশন সার্চলাইট' নামের ওই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙালি সদস্য ও পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে।
পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার সাক্ষী ছিল ওই রাতটি।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে দেশে অষ্টমবারের মতো দিনটি সরকারিভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে ক্ষমতাসীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গণহত্যা নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতিধর্মী নাটকের আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
এদিকে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৮ মাস আগে
গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের গাজা শহরে গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলন-২০২৪-এর ফাঁকে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। সুতরাং, আমরা কখনই এটি সমর্থন করি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বাঁচার অধিকার রয়েছে এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র রয়েছে। ‘গাজার জনগণের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সুতরাং আমাদের উচিত তাদের সহায়তা করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।’
আরও পড়ুন: মিউনিখে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নির্যাতিত ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও জনগণের প্রতি সমর্থন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরাইলের পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনই এ ধরনের আক্রমণ সমর্থন করে না। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্রে থাকার অধিকার পাওয়া উচিত, এটা পরিষ্কার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুই-রাষ্ট্র (টু-স্টেট) তত্ত্ব রয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।'
আরও পড়ুন: মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে