গণহত্যা
রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত
সোমবার (২৫ মার্চ) সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ গণহত্যা দিবস
দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপ প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন রিয়াদে বাংলাদেশি কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা
বক্তারা সবাই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
আজ গণহত্যা দিবস
দেশে আজ গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জনগণের ইচ্ছাকে দমনের চূড়ান্ত উপায় হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এরপরও মাত্র ৯ মাসেরও কম সময়ের যুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর বিজীয় আওয়াী লীগকে ক্ষমতা গ্রহণে বাধা দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়নে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
'অপারেশন সার্চলাইট' নামের ওই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙালি সদস্য ও পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে।
পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার সাক্ষী ছিল ওই রাতটি।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে দেশে অষ্টমবারের মতো দিনটি সরকারিভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে ক্ষমতাসীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গণহত্যা নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতিধর্মী নাটকের আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
এদিকে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের গাজা শহরে গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলন-২০২৪-এর ফাঁকে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। সুতরাং, আমরা কখনই এটি সমর্থন করি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বাঁচার অধিকার রয়েছে এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র রয়েছে। ‘গাজার জনগণের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সুতরাং আমাদের উচিত তাদের সহায়তা করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।’
আরও পড়ুন: মিউনিখে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নির্যাতিত ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও জনগণের প্রতি সমর্থন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরাইলের পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনই এ ধরনের আক্রমণ সমর্থন করে না। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্রে থাকার অধিকার পাওয়া উচিত, এটা পরিষ্কার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুই-রাষ্ট্র (টু-স্টেট) তত্ত্ব রয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।'
আরও পড়ুন: মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এবং জামায়াত এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। যারা এভাবে নিজেদের স্বার্থে গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকে তাদের হাতে কখনো দেশের স্বার্থরক্ষা সম্ভব নয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত 'স্টপ জেনোসাইড ইন প্যালেস্টাইন, সলিডারিটি ফ্রম বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অতীতেও বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, ফিলিস্তিনে হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম। তাদের স্পিকার এবং সংসদের নেতা সেটি গ্রহণ করে নাই।’
আরও পড়ুন: সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
ফিলিস্তিনবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই ফিলিস্তিনের জয় হবে এবং বাংলাদেশ, দেশের জনগণ, সরকার ও আমাদের দল ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার জন্য দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'পশ্চিমা বিশ্বের অপপ্রচার রুখতে গাজা অঞ্চলকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে 'অধিকৃত গাজা' এবং ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে 'আক্রমণকারী ইসরাইলি বাহিনী' লিখলে সত্য তুলে ধরা হবে।'
শান্তি পরিষদের মহাসচিব হাসান তারিক চৌধুরী এবং আমন্ত্রিত সুশীল চিন্তাবিদগণ সেমিনারে তাদের বক্তব্যে অবিলম্বে অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তুর্জাতিক বিচারালয়ের রায় কার্যকর করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, `১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে গণহত্যার মাধ্যমে যে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল তার মূল নায়ক ছিল পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদা। তাকে এরশাদ সাহেবও প্রমোশন দিয়েছেন, পরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও প্রমোশন দিয়েছেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সেটির দায়ে পুলিশ কমিশনারকে অভিযুক্ত করা হয়নি, বরং পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত দেশ। ন্যাম সামিটে জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারিসহ বহু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।’
তিনি বলেন, তিনি আবার নতুনভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পত্রপত্রিকায় দেখেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নির্বাচন কেন করলাম না, বিএনপির মধ্যে এখন এ নিয়ে গভীর হতাশা। সারা পৃথিবী যখন অভিনন্দন জানাচ্ছে, তখন তারা দিশেহারা হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামেও ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেদিনও পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার করে গুলি ছুঁড়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। সেদিন নিহতের সংখ্যা ২৪ জন বলা হলেও অনেক লাশ গুম করা হয়েছে, বহু মানুষ আহত হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। ভোট নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে তারা আসলে নিজের মুখটা রক্ষা করার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করছে। বিএনপি এখন আগের নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে ড. মঈন খানকে নামিয়েছে। সুন্দর সুন্দর কথা বলে তিনি যদি কিছু করতে পারেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপির মধ্যে ভেতরে ভেতরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড অসন্তোষ। সেই অসন্তোষ কোনো একসময় বিস্ফোরণ ঘটবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে বিলম্বের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও অমানবিক বক্তব্যের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি।
বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) 'আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্রসিডিউর'-এর আওতায় গৃহীত এক সিদ্ধান্তে কমিটি বলেছে, সাত দিনের 'বিরতির' পর চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর অধিকৃত গাজা উপত্যকায় নৃশংস শত্রুতা পুনরায় শুরু হওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
অধিকৃত গাজা উপত্যকা জুড়ে আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে তীব্র, নৃশংস এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অধিকৃত গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি সামরিক স্থল অভিযানের সম্প্রসারণে এটি গভীরভাবে মর্মাহত করে। ইসরায়েলি এই সামরিক অভিযানের ফলে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এতে বলা হয়, অধিকৃত গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক সংকট মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েল ও অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারেদ বর্ণবাদী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সহিংসতা ও গণহত্যার উসকানি এবং ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে অমানবিক বক্তব্যের বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
কমিটি গত কয়েক সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক প্রাণঘাতী অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বৃদ্ধি, বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনিদের আটকসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
একই সঙ্গে কমিটি অধিকৃত গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক ও টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
এতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর এবং পূর্ব জেরুজালেম ও ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে তাদের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের অন্তত ১৩৬ জন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কমিটি। ইসরায়েলকে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন নথিভুক্ত করতে বলেছে সংস্থাটি। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই কমিটি।
কমিটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি চলমান সশস্ত্র সংঘাতের অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়: মুখপাত্র
বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’
এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর', কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসংঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’
১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়য়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েছেন।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের অবসানের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়।
তিনি বলেন, ‘আমি নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক, অমানবিক অস্তিত্বের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সংঘাতের অবসানের দাবি জানানোর সময় এসেছে।’
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভারত আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট ২০২৩ এ ভাষণ দেওয়ার সময় এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এটি মূলত জাতিগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব, যা ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার দিকে পরিচালিত করেছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, এই সংঘাতগুলো যুদ্ধরত দেশ এবং জড়িত আন্তর্জাতিক অংশদের মধ্যে সত্যিকারের বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা তৈরি করার জরুরি প্রয়োজনের আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ব অসহনীয় দারিদ্র্য, অনাকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর হুমকিতে জর্জরিত।’
তিনি বলেন, গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ও ক্রমবর্ধমান কষ্টের সঙ্গে এখন নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেখা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং 'সবার প্রবৃদ্ধি' অর্জনের জন্য 'সবার আস্থা' জোরদার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, যদিও এটি প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের ঝুঁকিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার আস্থার ভিত্তিতে আরও ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে সক্ষম করার জন্য গ্লোবাল সাউথের জন্য আরও সুযোগ ও আওয়াজের অনুমতি দিয়ে এগুলো মোকাবিলা করা দরকার।’
তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনে গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং বিশ্বের উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশ করেন। সেগুলো হলো-
প্রথম: শান্তির প্রবক্তা হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, মানবতার সার্বিক কল্যাণের জন্য বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমুন্নত রাখা অত্যাবশ্যক।
‘গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট বজায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয়: বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেক হিসেবে নারীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রাণবন্ত সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘দীর্ঘসময় ধরে নারী নেত্রী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে জানি, একটি উজ্জ্বল ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন একটি কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা।’
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয়: বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক।
‘গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি হস্তান্তর অপরিহার্য।’
চতুর্থ: প্রধান জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথের উচিৎ সবার উন্নত জীবন প্রদান এবং আয়োজক ও স্বদেশ উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অভিবাসনকে সহজতর করা।
পঞ্চম: কোভিড-১৯ এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘাতের ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
‘আমি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গ্র্যাজুয়েশনের পরেও যথাযথ সময়ের জন্য শুল্ক, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
পরিশেষে, তিনি বৈশ্বিক মানব উন্নয়নে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার কোঅপারেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘আমি উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশীজনদের আরো উন্নত ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল সাউথকে উদারভাবে সমর্থন করার আহ্বান জানাই।’
ভারত শুক্রবার ভার্চুয়াল ফরম্যাটে সেকেন্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করছে, যা এই বছরের জানুয়ারির পর দ্বিতীয়বার হচ্ছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাম্বিয়ার সঙ্গে তথ্য বিনিময় করেছে
রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে গাম্বিয়াকে তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, আমরা নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস মোকাবিলার জন্য একটি সামগ্রিক অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছি। এই বিচার প্রক্রিয়া সত্য, ক্ষতিপূরণ, ন্যায়বিচারের দাবিতে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তার জন্য ভুক্তভোগী এবং বেঁচে থাকা মানুষের দাবিকে সম্মান জানানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
রবিবার (২৬ আগস্ট) বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক ইউএস আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া এসব কথা বলেন।
গণহত্যার কথা স্বীকার করাই একমাত্র কাজ নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সহিংসতার অবসান ঘটাতে এবং নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সবাইকে একসঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরুর ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেয়া এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে যোগদানকারী রোহিঙ্গা প্রবাসী সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘চলমান নিপীড়নের মুখে আমি আপনাদের সহনশীলতার প্রশংসা করি।’
২০১৬-২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর নৃশংস হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আজরা জেয়ার বার্তা
নির্যাতন, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাসহ পদ্ধতিগত সহিংসতা ও গণহত্যার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হন এবং হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। তারা ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এসব আক্রমণের ভয়াবহ প্রভাব আজ ছয় বছর পরেও অব্যাহত।
বাংলাদেশ এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরও অনেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জেয়া বলেন, ‘জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তারা মিয়ানমারে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সহিংসতার বর্ণনা দেন। একই সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে গেলে আবারও নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।’
মিয়ানমার সরকার জাতিগত ও ধর্মীয় পার্থক্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ২০১৬-২০১৭ পর্যন্ত অধিকার, নাগরিকত্ব, বাড়িঘর এবং এমনকি তাদের জীবন হারানোর ঘটনায় এ বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়। রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই সত্যকে চাপা দেওয়া চেষ্টা করেছে দেশটির সরকার।
জেয়া বলেন, ‘আমরা দায়ীদের জবাবদিহি করা, বেঁচে থাকা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে অটল।’
রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রথমে।
তারা ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের এ সংক্রান্ত সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়নেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবে না- তা স্বীকার করে তিনি বলেন, পুনর্বাসন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, সেখানে আমরা অবদান রেখেছি।
২০০৯ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল থেকে প্রায় ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে।
জেয়া বলেন, ‘আমাদের কাজ শুধু মানবিক নয়, আমাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সফর শেষ করেছেন আজরা জেয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়াকেও সহায়তা করে। দেশটির একটি ম্যান্ডেট হলো ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে সংঘটিত সবচেয়ে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ সংগ্রহ, একত্রীকরণ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা।
ওপেন সোর্স তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা জোরদার করতে এবং প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের রক্ষা করার জন্য মার্কিন সহায়তার মধ্যে ২ মিলিয়ন ডলার তহবিল দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
জেয়া বলেন, ‘আমরা জবাবদিহি চাওয়ার ক্ষেত্রে একা নই। বুধবার, আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি যৌথ বিবৃতিতে সামরিক সরকারের করা নিরবচ্ছিন্ন সহিংসতা অবসানের আহ্বান জানিয়ে আরও ১২টি দেশের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছি।’
এই বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের অর্থনীতির জেট ফুয়েল সেক্টর পরিচালনাকারী কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়গুলো আরও প্রসারিত করেছে এবং এই তালিকায় দুই ব্যক্তি ও তিনটি সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্জেন্টিনার আদালতে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে বিচার চেয়েছে রোহিঙ্গারা। তাদের সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও এনজিওগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রযেছে।’
জেয়া বলেছেন, তারা সক্রিয়ভাবে সুশীল সমাজ এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা এবং অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করার জন্য কাজ করছে।
জেয়া বলেন, মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন। ২০২২ সালের মার্চে দেওয়া এই স্বীকৃতি ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আটবার এধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
জেয়া বলেন, ‘শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করাসহ বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনগুলো বিবেচনায় নিতে হবে আমাদের। আমাদের অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সেনাবাহিনীর অব্যাহত দায়মুক্তির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে। পাশাপাশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ন্যায়বিচারের জন্য অবশ্যই তাদের লড়াইকে সমর্থন করতে হবে।’
এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কীভাবে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক মিয়ানমার নিশ্চিত করতে পারি, তা নির্ধারণে এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে। যে ব্যবস্থা সবার মানবাধিকারকে সম্মান করে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ করেছে: আজরা জেয়া
রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর আইসিসি’র চিফ প্রসিকিউটরের
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর করিম খান রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি ও ন্যায়বিচার প্রদানের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর করিম খান রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কথিত গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নিতে কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন।
কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে তিনি পরের বছর আবার আসবেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের প্রতি অঙ্গীকার দিয়েছি।’
আইসিসির প্রসিকিউটর বলেছেন যে তিনি মামলার জন্য সম্পদ বাড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনকালে করিম খান রোহিঙ্গা যুব গোষ্ঠীর সঙ্গে আইসিসির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন এবং তরুণরা কীভাবে ন্যায়বিচার প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারে তা বিবেচনা করেন।
তিনি বলেন, জবাবদিহিতার প্রক্রিয়ায় মূল্যবান অংশীদার হিসেবে শিশু ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য।
কুতুপালং ক্যাম্পে প্রথম বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গা নারী গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের মতবিনিময়
তিনি রিপোর্টিং পদ্ধতিতে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, আইসিসির কাজ সম্পর্কে বোঝাপড়া গভীর করা এবং স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে ফলাফল প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন।
মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার আবাসস্থল কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
প্রসিকিউটর খান তার সফরের উদ্দেশ্য এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে তাদের চলমান কাজ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ন্যায়ের পতাকা ধরে রেখেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার উদারতায় ধন্যবাদ জানান তিনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব মামলা নিষ্পত্তির জন্য আইসিসির প্রচেষ্টা কামনা করেন।
মঙ্গলবার আইসিসির প্রসিকিউটরকে তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলাটি শেষ করার জন্য আপনার প্রচেষ্টা করা উচিত। বিলম্বে বিচার মানে বিচারের নামে প্রহসন।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচিত তদন্ত করা, রোহিঙ্গা পাচারে সিন্ডিকেট ভূমিকার জন্য কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করা: ফোর্টফাই রাইটস
২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকরা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করার অনুরোধ মঞ্জুর করেন।
তদন্ত শুরু করার এই অনুমোদনকে ন্যায়বিচারের অনুসন্ধান ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে দেখা হয়, বিশেষত এই পরিস্থিতিতে কথিত অপরাধের শিকারদের জন্য।
প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের তদন্তকারীরা এখন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যা ঘটেছে তার সত্যতা উন্মোচনের জন্য সতর্কতা ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেষ্টা করছেন।
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আমরা বলছি গণহত্যা আর কখনো হবে না।
আরও পড়ুন: যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মামলা নিষ্পত্তি করুন: আইসিসির প্রসিকিউটরকে মোমেন