রবিবার সকালে জেলা শহরে এক শোক র্যালি বের করে আইনজীবী সমিতি। বারের আইনজীবীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে এতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
পরে দিবসটি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন প্রাঙ্গনে বোমা হামলায় শহীদদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মৃতি শিখা অনির্বাণ’ এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা জজ আদালত, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, জিএমপি ও জেলা পুলিশ বিভাগ, আইনজীবী সহকারী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এসময় বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির আহমাদ, জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম, জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন বাবুল, বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক সুদীপ কুমারসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বোমা হামলার দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের এ দিন সকালে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর হলরুমে জেএমবি সদস্যদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটনাস্থলে চার আইনজীবী, চার বিচারপ্রার্থীসহ হামলাকারী জঙ্গি নিহত হয়। হামলায় আরও অর্ধশতাধিক আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী আহত হন। পরে আহত অবস্থায় আরও একজন আইনজীবী মারা যান। ঘটনার ১৪ বছরে পেরিয়ে গেলেও বিচার শেষ হয়নি। ভুক্তভোগীরা ওই ঘটনায় সব মামলার রায় এবং রায় হওয়া আসামিদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিম, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা ও অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক অভি এবং বিচারপ্রার্থী আব্দুর রউফ, বশির মেম্বার, শামসুল হক ও মর্জিনা বেগম।
এ ঘটনায় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী জেএমবি সদস্য শরিয়ত উল্লাহ ওরফে আসাদুল ইসলামও মারা যান।
গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির উদ্দিন আহমদ জানান, গাজীপুর ওই ঘটনায় দায়ের করা পাঁচটি মামলার মধ্যে ঢাকায় দ্রুত বিচার (বিশেষ) আদালতে দুইটি মামলার নিষ্পতি হয়েছে। এতে অভিযুক্ত ১০ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন দ্রুতবিচার আদালত-৪ এর বিচারক। বাকি তিনটি মামলা এখনও গাজীপুর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।