জেএমবি
জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র সশস্ত্র শাখার প্রধান এবং কাউন্সিল (শুরা) সদস্য রণবীর ডাকাতির অভিযোগে জেলে থাকাকালীন জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতকাল মাসুকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ ও বাশারকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।
রণবীরের সহযোগী বাশার বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ।
রণবীর পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। তিনি একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেপ্তার হন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, কারাগারে থাকাকালীন তিনি জেএমবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তির পর তিনি কারাগারে জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে থাকেন। তাদের পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল।
শুরা সদস্য রাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালে তিনি দেখা করেন এবং পরে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান এবং একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন।
র্যাবের সদস্যরা সোমবার(২৩ জানুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্দুকযুদ্ধের পর রনবীর ও বাশারকে গ্রেপ্তার করে।
বন্দুকযুদ্ধের পর ক্যাম্পের একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ দু’জনকে আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে নাশকতা ও অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে আরেক জেএমবি সদস্যকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার(২১ নভেম্বর) দুপুরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাংটেপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, পার্শ্ববর্তী সাহেবডাঙ্গা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে আপেল মিস্ত্রি ও কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতীর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
১৪ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে তফিজুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ আগষ্ট রাতে জেএমবি সদস্যরা পাটগ্রামের এমএম প্লাজা মার্কেটের সংলগ্ন একটি কাঠের ফার্নিচার দোকানে বৈঠক করেন। ওই সময় সেখানে রংপুর র্যাব-১৩ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় চারজন আটক হন। এ সময় দেহ তল্লাশি করে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এ ছাড়া এই তিনজনসহ একজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কয়েকটি ধারায় আরেকটি মামলা হয়। সেই মামলায় একজনকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা দায়রা জজ আদালতের (পিপি) আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, তারা মূলত সরকারকে উৎখাত করতে বিভিন্ন নাশকতার জন্য বৈঠক করছিল। এসব বিষয় সত্যতা পেয়ে তাদের তিনজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
'জেএমবি'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ হলো পিএফআই
জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে মুসলিম সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
পিএফআই- এর ছাত্র শাখা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য সম্মুখ সারির সংগঠনগুলোর ওপর তীব্র ক্র্যাকডাউনের এক সপ্তাহ পরে দেশটির জাতীয় সন্ত্রাস দমন তদন্ত সংস্থা অভিযান চালিয়ে দলটির সাথে যুক্ত ২৫০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছিল।
এর ফলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিএফআইকে একটি ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে যা ‘দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকর’। কারণ এটি দেশীয় স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্টের (সিমি) মতো নিষিদ্ধ এবং বিদেশি জেএমবি এবং ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: আড়াই বছর পর জকিগঞ্জ চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার
মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলছে, ‘পিএফআই এবং এর সহযোগী বা ফ্রন্টগুলো একটি আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে প্রকাশ্যে কাজ করে। তবে তারা গণতন্ত্রের ধারণাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কাজ করে সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে উগ্রবাদী করতে একটি গোপন এজেন্ডা অনুসরণ করছে।’
মন্ত্রণালয়ের মতে, বাইরে থেকে তহবিল এবং আদর্শিক সমর্থনের সঙ্গে এটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘জনসাধারণের মনে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে অতীতে পিএফআই সদস্যরা বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগণতান্ত্রিক’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করে, পিএফআই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৬ সালে নিবন্ধিত পিএফআই নিজেকে ‘একটি বেসরকারি সামাজিক সংস্থা হিসাবে বর্ণনা করে। যার বিবৃত উদ্দেশ্য হলো দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করা এবং নিপীড়ন ও শোষণের বিরোধিতা করা’।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৮, আহত ২৫
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ৪ নারী
চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৫ জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জেএমবির সদস্য আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান, আবদুল গাফফার ও নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় পতেঙ্গা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করেন আবদুল মান্নান। এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করলে হামলাকারী মান্নান ভিড়ের সঙ্গে মিশে যান। কিন্তু তার বাঁ হাতের কবজিতে ইলেকট্রিক সুইচ দেখে মুসল্লিরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন আবদুল মান্নান আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হলে রমজান আলী মসজিদের মাঝবরাবর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে যান। পরে তাকেও ধরে ফেলা হয়। ওই দিন দুটি মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন।
হামলার ৯ মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ২২ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
গত বছরের নভেম্বরে এ মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
উক্ত মামলার আসামি বাবলু রহমানকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আবদুল গাফফারকে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। অপর আসামি নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান।
সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার ১৭ বছর
২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৭ তম বার্ষিকী আজ বুধবার। এ হামলায় দুজন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল দেশ থেকে চরমপন্থা নির্মূল করার জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়ে ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
২০০৫ সালের এই দিনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশের ৬৩টি জেলার ৪৩৪টি স্থানে প্রায় ৫০০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে ৯৪টি মামলার বিচার ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে এবং ৫৫টি মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
আরও জানা যায়, সিরিজ বিস্ফোরণে ২৭ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়। এদের মধ্যে আটজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
এই বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে জেএমবি জাতির সামনে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশের অপচেষ্টা করে। কিন্তু ২০০৭ সালে জেএমবির শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।
২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার দায়ে সংগঠনটির ছয় নেতা- শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাহউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় জেএমবির ২ সদস্যের ২০ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
খুলনায় জেএমবির ২ সদস্যের ২০ বছরের কারাদণ্ড
বিস্ফোরক আইনে খুলনার একটি আদালত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র দুই সদস্যকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
রবিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার মোড়াবাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে নুর মোহাম্মদ অনিক ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাশুরদুয়ার এলাকার মো. রেজাউল করিমের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ ও শামীম আহমেদ পলাশ।
আরও পড়ুন: জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
আদলত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার পুরাতন গল্লামারী রোডের হাসনাহেনা নামক বাড়ির তিনতলা ভবনের নিচ তলায় উত্তর পাশের কক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র কয়েকজন অবস্থান করছে। সেখানে তারা সন্ত্রাসী কার্যকালাপের পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ রাসায়নি দ্রব্য ও কয়েকটি রিমোর্ট কন্ট্রোল উদ্ধার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
আরও জানা যায়, এ ব্যাপারে ওইদিন রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রোহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে তাদের দু’জনের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২২ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন মোট ১২ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ বলেন, এ দু’জন আসামির বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। আদালতে তারা কয়েকটি স্থানে বোমা হামলার কথাও স্বীকার করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আদালত অতি অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করেছে। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। দেশের অন্যান্য মামলাগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নওগাঁয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে নওগাঁর পত্নীতলা থানার নজিপুর পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
গ্রেপ্তার মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফকে (৪৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।
রবিবার দুপুরে নওগাঁর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জেএমবি ‘সদস্য’ আটক: র্যাব
তিনি জানান, সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় ২০১২ সালে একটি হত্যা মামলা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিল। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি ভেড়া লালন-পালন করেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভুক্ত হয়। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়। পরবর্তীতে তাদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি'র স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আ. শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেএমবি সামরিক শাখার ২ সদস্য গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার সানোয়ার হোসেন ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়না মূলতবি আছে। তাছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানায় ২০১৪ সালের একটি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সানোয়ারসহ তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক ও লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ বুধবার।
গত ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পরে তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছর জার্মানিতে চলে যান তিনি। সেখানেই ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটির তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মারা যান।
আরও পড়ুন: ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল
লেখক ও শিক্ষাবিদ হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আগামি ১৩ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এই রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। তাদের মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওই দিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মারা যান।
উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পরে তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। একই বছর জার্মানিতে চলে যান তিনি। সেখানেই ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশের (জেএমবি) প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, নূর মোহাম্মদ সাবু ওরফে শামীম, মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ওই বছরের ৩০ মার্চ ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটির তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
জেএমবির খুলনা বিভাগীয় প্রধানের ২০ বছরের কারাদণ্ড
বিস্ফোরক মামলায় জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর খুলনা বিভাগীয় প্রধান জিয়াউর রহমানকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান ওরফে সাগর ওরফে সাব্বির নাটোর জেলার বাঘাতিপাড়া উপজেলার মাইরখোলা এলাকার গেদু মোলা ওরফে গেদু মিস্ত্রির ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সিরিজ বোমা হামলায় জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে মিয়াপাড়া থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন জিয়াউর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করে। এরপর তার দেখানো স্থান থেকে র্যাব দৌলতপুর থানাধীন রৈবরাগীপাড়া যশোর ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
৩০ ডিসেম্বর রাতে র্যাবের ডিএডি ইউনুছ আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি দৌলতপুর থানার এসআই জাহেদুল হক সরকার তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
পড়ুন: ময়মনসিংহে ‘জেএমবি’র চার সদস্য গ্রেপ্তার: অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার