আইনজীবী সমিতি
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ভাঙচুর
ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাতের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালের এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
এদিকে, নিরাপত্তার কারণে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগার থেকে এদিন কোনো আসামিকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় মিছিল করেছেন। তারা আদালতের প্রত্যেকটি কক্ষের ভেতরে দেওয়ালে টাঙানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদিক ও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আসামিবাহী কোনো প্রিজনভ্যান (আদালতে) আসেনি।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
২ মাস আগে
চাঁদপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি সায়েদুল মারা গেছেন
চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি সাইয়েদুল ইসলাম বাবু (৫৫) মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ের ফরিদগঞ্জ এলাকার সাবেক গণ পরিষদ সদস্য ছিলেন। জেলা শহরের আদালত পাড়ার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান তিনি।
আরও পড়ুন: বিসিবি পরিচালক আলমগীর খান আলো মারা গেছেন
মৃত্যুর তথ্য ইউএনবিকে নিশ্চিত করেন তার ছোট ভাই ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান।
তিনি জানান, গত দুই মাস ধরে তার ফুসফুসে ইনফেকশন হয়ে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎকালীন প্রথমে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে গত ৮ দিন আগে বিএসএমএমইউ-এ ভর্তি হন।
এদিকে অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি এক শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এছাড়াও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন।
মরহুমের নামাজে জানাজা রবিবার বাদ আছর সাড়ে ৫টায় শহরের বেগম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
হজের সময় মারা গেছেন ১৩০০ জনেরও বেশি মানুষ, অধিকাংশ মৃত্যুই প্রচণ্ড গরমে
৩ মাস আগে
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ৫ আইনজীবী কারাগারে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে পাঁচ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মাদ ওসমান চৌধুরী, কাজী বশির আহাম্মেদ, মো. এনামুল হোসেন সুমন, মো. হাসানুজ্জামান তুষার ও মো. তরিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আযাদ পাঁচ আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৮ মার্চ মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুবক কারাগারে
আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপির ৭ নেতা-কর্মী
৭ মাস আগে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (এসসিবিএ) নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল ইসলাম, সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন। শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্ত করে বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।’
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নাশকতার ঘটনায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে কোন গ্রুপের লোক জড়িত ছিল তা বিবেচ্য নয়। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আর ২০-৩০ জন অজ্ঞাত আসামি করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিক সাইফ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী এবং বিএনপিপন্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুসের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।
৭ মাস আগে
নওগাঁ আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদককে হাইকোর্টে তলব
নওগাঁ বারের এক আইনজীবীর বাসায় চুরির মামলায় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানোর ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে নওগাঁ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ আগস্ট সকাল ১০ টায় আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
নওগাঁ আদালত থেকে আসামির মামলার বদলির আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
তিনি বলেন, নওগাঁ বারের এক আইনজীবীর বাসায় চুরির মামলায় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না দাঁড়ানোয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট পি ডাব্লিউ দিয়ে আসামিকে কোর্টে হাজির করে তার মুখ থেকে শুনে জামিন দেন। আসামিকে জামিন দেওয়ায় নওগাঁ বার রেজ্যুলেশন করে সেই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা জজকে বারের সিদ্ধান্ত পাঠান। আসামি এ কারণে মামলা বদলির আবেদন করেন।
সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নওগাঁ বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছেন।
তিনি আরও জানান, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা জজ ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। ৩০ আগস্ট শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেলকে থাকতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর: খোকন-কাজলসহ ১৪ জনের আগাম জামিন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৪ আইনজীবীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ৪ আইনজীবীকে জামিন না দিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাদেরকে জামিন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মো. সাগর হোসেন, মো. রেজাউল করিম রেজা, মাহবুবুর রহমান খান, মো. রবিউল আলম সৈকত, নজরুল ইসলাম ছোটন, রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, মো. মাহমুদ হাসান, মো. কামাল হোসেন, মো. আনিসুর রহমান (রায়হান) ও খালেদ মাহমুদুর রহমান আদনান।
একইসঙ্গে ভাঙচুরের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকায় আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, আ. কাইয়ুম ও উজ্জল হোসেনকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে অধস্তন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তারা সশরীরে হাজির হয়ে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন জানালে সোমবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে গত ৩ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপাররিনটেনডেন্ট মো. রফিকুল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। তবে সেদিন বিএনপি সমর্থক এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করতে গেলেও তা গ্রহণ করেনি শাহবাগ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাজা বহালের রায় প্রকাশ, আমান দম্পতিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে গত ৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে দু’পক্ষের আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হাতা-হাতি। এ পরিস্থিতি চলতে থাকে অন্তত ১০ মিনিট। এরই মধ্যে আইনজীবীরা সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে থাকা নেমপ্লেট খুলে ফেলেন।
পরে সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল বলেন, বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, কাজল ও সজলের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয়েছে। সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে তারা।এদিকে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা আমাদের এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলা করেন। তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আরও মারমুখী আচরণ করেন। সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তারা নিজেরা ভাঙচুর করে উল্টো আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ নিয়ে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন: অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
১ বছর আগে
বিএনপির ২৪ আইনজীবীর নামে মামলা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে হামলা, ভাঙচুর হুমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন বিএনপিপন্থী আইনজীবীর নামে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান।
এছাড়া মামলার আসামিরা সবাই সমিতির বিএনপি সমর্থক আইনজীবী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
জানা যায়, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ছাড়া অন্যরা হলেন-ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজি মো. কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহাদিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি, অ্যাডভোকেট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দীকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ছোটন, অ্যাডভোকেট মহসিন কবির রকি, অ্যাডভোকেট ফয়সাল সিদ্দীকি, অ্যাডভোকেট সফিউল আলম সপু, অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন, ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ রানজিব, অ্যাডভোকেট মো. ইসাসহ আরও ৫০/৬০ জন আইনজীবী ও কয়েকজন বহিরাগত হঠাৎ সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং জামায়াতের নাম নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিলসহ প্রথম সমিতির ২ নম্বর হলরুম, পরবর্তীতে ১ নম্বর হলরুমে প্রবেশ করে ইফতার অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারপতির নাম সম্বলিত সব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আইনজীবী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের চেয়ার টেবিল ভেঙে ও কাপড় উপড়ে ফেলে সমস্ত সমিতি ভবন একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করে।
এসময় উপরোক্ত আসামিদের বেআইনী কর্মকাণ্ডে বাধা দিত গেলে তারা সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পানু খান ও অ্যাডভোকেট মো. শাহনওয়াজসহ অন্যান্য আইনজীবীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম ১২ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট নূর আলম সিদ্দীকী সোহাগ প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে গেলে ভিকটিম হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় তার ডান হাত মারাত্মক রক্তাক্ত হয়।
তখন উপরোক্ত আসামিরা সাধারণ আইনজীবীদের ইফতার অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করে এবং ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের সুপ্রিম কার্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সমিতির আমন্ত্রণে ইফতার অনুষ্ঠান যোগদানর জন্য সমিতির নিচ তলার সিঁড়ি দিয় ২য় তলায় ওঠার সময় আসামিরা তাকে গালাগাল করে এবং ৭ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী রবি ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামির নির্দশে তার দিকে পানি ভর্তি বোতল ছুঁড়ে মারে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ ফৌজদারী অপরাধ করে।
সমিতির সাধারণ আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন উপরোক্ত আসামিরা যেকোনো সময় সংগঠিত হয়ে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের পেশাগত এ পবিত্র স্থানে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতিসহ যে কোনো ধরনের বড় ক্ষতি করতে পারে।
ঘটনার পর ইফতার শেষ করে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ায় এবং পর দিন শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সমিতির অফিস বন্ধ থাকায় সমিতির নির্বাচিত নেতা ও সিনিয়র সদস্যরা এ ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করে এ দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুটি আলাদা হল রুমে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে সমিতির নির্বাচন ইস্যুতে বিবদমান দুটি পক্ষ। বিকেল ৪টার দিকে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
১ বছর আগে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: ঘটনা তদন্তে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থীর রিট
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
তদন্তের জন্য কমিটি করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়ার আর্জি জানিয়ে রবিবার রিটটি করেছেন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থী।
সোমবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের একজন এবং বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে ১৫ মার্চ আবেদনকারীদের, আইনজীবী ও সাংবাদিকদদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এভাবে পুলিশি তাণ্ডব আর না চালানো হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটের নির্ধারিত দিন ছিল। সমিতির এই নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটি গঠন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক এবং সমমনা আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
শুরুতেই এই সাব-কমিটি গঠন নিয়ে মতৈক্য থাকলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে সাত সদস্যের সাব-কমিটি ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে গঠন করা হয়।
কিন্তু সাব-কমিটি নির্বাচনে ভোট মেশিনে গণনা করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল তাতে রাজি না হওয়ায় অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় ১৪ মার্চ বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ১৫ মার্চ সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান।
এক পর্যায়ে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন। এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন। পরে একতরফা ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থক ১৪ প্রার্থীই বিজয়ী হন।
এ নিয়ে গতকাল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (বার) সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার জন্য আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।
একইসঙ্গে নির্বাচন পরিচালনায় নতুন একটি সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন ‘একতরফা হয়নি’- বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেননি।
এর আগে দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে। যদিও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বিএনপি সমর্থকরা।
নির্বাচিত হলেন যারা- আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির তিন হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি ও মো. আবদুন নূর দুলাল তিন হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে সম্পাদক পদে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতির দুটি পদে মো. আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ পদে এম মাসুদ আলম চৌধুরী, দুটি সহ-সম্পাদক পদে এ বি এম নূর-এ-আলম উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ জয়ী হয়েছেন।
সাতটি সদস্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন- মহিউদ্দিন আহমেদ (রুদ্র), মনিরুজ্জামান রানা, শফিক রায়হান শাওন, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজমুল হুদা ও সুভাষ চন্দ্র দাস।
সমিতির দক্ষিণ হলে নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী সমর্থকদের গঠিত সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি দাবি করেন, দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে আট হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে চার হাজার ১৩৭টি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
১ বছর আগে
আ.লীগ ‘তথাকথিত’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে: ফখরুল
পুলিশ ও বহিরাগতদের ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতার স্বার্থে ‘তথাকথিত’ হিংসাত্মক নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের দাবি করেছে।
শুক্রবার এসসিবিএ নির্বাচনের ফল ঘোষণার একদিন পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এমন একটি দেউলিয়া দলে পরিণত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী হতে পুলিশ ও বহিরাগতদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জার বিষয়।’
আরও পড়ুন: বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হলে উ. কোরিয়ার মতো স্বৈরাচারী হতে পারে বাংলাদেশ: ফখরুল
ফখরুল বলেন, তাদের দল চায় প্রধান বিচারপতি এগিয়ে এসে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
আইনগতভাবে নির্বাচন না হলেও ভোটের নামে নাটক সাজিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফাভাবে’ নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমি অবিলম্বে তথাকথিত নির্বাচন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের প্যানেল বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ বুধবার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে।
হট্টগোল, সহিংসতা, সংঘর্ষ, পুলিশের তৎপরতা এবং ব্যালট চুরি ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগের মধ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি
১ বছর আগে
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে দু’দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন।
পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের ভোট দিতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিনে ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে বলে দাবি এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির।
অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সবার সম্মতিতে বৈধভাবে গঠিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে, এই ভোটে অংশ নেননি বিএনপি সমর্থক ও সমমনা আইনজীবীরা।
তবে আজও সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল-পাল্টা মিছিল, ধস্তাধস্তি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর এই ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও এবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সমিতির এই ভোটের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বের করে দেয়া, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া ও আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
পরে খাসকামরায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যও শোনেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-শ্লোগান, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থী ২২ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই আদালত চত্বরে ছিল উত্তেজনা।
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবাবের ভোটকে ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে উত্তেজনার আমেজ ছিল। তবে আজ রাতেই এই ভোট গণণা ও ফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল (বুধবার) ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।’
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কি হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা ২ জন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেবো।’
এ সময় সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১ টায় আসেন। এখন কোর্টের কাজ করি।’
পরে বেলা ১১টার পরে বিএনপি ফোরামের ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়।
এরপর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা আমাদের বিষয় না। সমিতি একটি প্রাইভেট বডি। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে অপরপক্ষ বাধা দেবে তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা যায়, সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দু’পক্ষের আইনজীবী নেতারা। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল হক চৌধুরীকে। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী ফোরামের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল তাতে বাধা দেন। তিনি আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে আনেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ বিকালে প্রার্থী পরিচিতি সভার পর সন্ধ্যায় মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ভোটে আওয়ামী লীগ ফোরামের সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির পুলিশ ডাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলা ১১টার ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।
পুলিশ দুঃখিত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করে হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
এদিকে সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কমিটির সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
পাশাপাশি অনুষ্ঠিত ২০২৩-২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে।
১ বছর আগে