নিহত আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুরমনাই (৬০) উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল করিম কাসেমি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খানের ছেলে রাহেল আহমদ বাড়ির সামনের কয়েকটি গাছ কাটতে যায়। এসময় বাবা এবং মা মিনারা বেগম ছেলেকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।
এ নিয়ে রাহেল মা-বাবার সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে মা-বাবাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এসময় তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবদুল করিম খানকে মৃত ঘোষণা করেন। মিনারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে মা-বাবাকে কোপানোর পর গ্রামের লোকজন রাহেলকে আটক করতে গেলে সে কয়েকজনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানি হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
রাহেলকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।