চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে নতুন করে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া, স্টেম টারবাইন বিকল থাকায় ওই ইউনিটে থেকেও বন্ধ রয়েছে আরও ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকার কারণে ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২০ থকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যাদুটি সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে উৎপাদন কেন্দ্রের বিকল হয়ে পড়া যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর মূল ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়। তবে, এখন নতুন করে গ্যাস সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যন্ত্রাংশ অকেজো হওয়ায় ৫০ মেগাওয়াট স্টেম টারবাইন ইউনিটও এখন বন্ধ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূরুল আবছার বলেন, ‘এরইমধ্যে গ্যাসের চাপ বাড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধান ও বিকল ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ কর্মকর্তা জানান, প্রথমে গ্যাস বুস্টারে ত্রুটি ধরা পড়ে, তা মেরামতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে কাজ করতে করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। তারপর ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটটি চালু হলে নতুন করে আবার বিয়ারিংয়ে ত্রুটি দেখা দেয়। তা সারিয়ে গত তিন সপ্তাহ পুরোদমে এই ইউনিটটি চালু হয়। তবে এখন চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না থাকায় নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৮ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও ২০ থেকে ২২ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
ব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘স্টেম টারবাইন ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। দুই সপ্তাহ পর বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেটি মেরামতের জন্য কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: তীব্র পানি-গ্যাস সংকটে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা