উৎপাদন
গ্যাস সংকটে ফের চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত
চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে নতুন করে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া, স্টেম টারবাইন বিকল থাকায় ওই ইউনিটে থেকেও বন্ধ রয়েছে আরও ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকার কারণে ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২০ থকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যাদুটি সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে উৎপাদন কেন্দ্রের বিকল হয়ে পড়া যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর মূল ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়। তবে, এখন নতুন করে গ্যাস সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যন্ত্রাংশ অকেজো হওয়ায় ৫০ মেগাওয়াট স্টেম টারবাইন ইউনিটও এখন বন্ধ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূরুল আবছার বলেন, ‘এরইমধ্যে গ্যাসের চাপ বাড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধান ও বিকল ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ কর্মকর্তা জানান, প্রথমে গ্যাস বুস্টারে ত্রুটি ধরা পড়ে, তা মেরামতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে কাজ করতে করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। তারপর ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটটি চালু হলে নতুন করে আবার বিয়ারিংয়ে ত্রুটি দেখা দেয়। তা সারিয়ে গত তিন সপ্তাহ পুরোদমে এই ইউনিটটি চালু হয়। তবে এখন চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না থাকায় নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৮ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও ২০ থেকে ২২ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
ব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘স্টেম টারবাইন ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। দুই সপ্তাহ পর বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেটি মেরামতের জন্য কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: তীব্র পানি-গ্যাস সংকটে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা
গ্যাস সংকট: সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে
উৎপাদন বাড়াতে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, চলতি বছরে তাপদাহে আমসহ বেশকিছু ফসল উৎপাদন কম হয়েছে। তাই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ বেশি করে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ঠ সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশের মূলধারার সুপার মার্কেটগুলোতে আম সরবরাহ করা গেলে আম রপ্তানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে ও আম উৎপাদনকারীরা অধিকতর লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন: ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুরের কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং হাউজে আম রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করতে আম রপ্তানি খুবই সম্ভাবনাময়। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার আম রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
আম রপ্তানিকারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য শ্যামপুরের কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং হাউজ আধুনিক ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ চলমান আছে।
সোমবার(১০ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি উদ্বোধন করা হলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর জাতের প্রায় ১৮৯ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এ দিন ১৪টি কনসাইনমেন্টে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে ২৫ টন আম রপ্তানি করা হবে।
এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রায় ৩৮টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলি, সুরমা, ফজলি, বারি-৪ জাতের রপ্তানিযোগ্য ৩ হাজার ১০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৮টি দেশে ৩ হাজার ৯২ টন আম রপ্তানি করা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন: পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
আমনের উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি টাকার প্রণোদনা
রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে এই বছর ৪০ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এছাড়া এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন দেশের ৬১টি জেলার ৫ লাখ ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক।
আরও পড়ুন: আমনের উৎপাদন বাড়াতে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা
বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য রোপা আমন ধানের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
কুড়িগ্রামে অনাবৃষ্টি ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে আমনের খেত ফেটে চৌচির
সিলেটে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা ২৯ লাখ, উৎপাদন মাত্র ৪ লাখ
সিলেট বিভাগে প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে। এই অঞ্চলে প্রতিদিন হাঁস ও মুরগির ডিমের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৯ লাখ।
চাহিদার বিপরীতে সিলেটে মাত্র ৪ লাখ ডিম উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
এতে দেখা গেছে প্রতিদিন অন্তত ২৫ লাখ ডিম সিলেট বিভাগের বাইরে থেকে এনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মধুখালীতে ন্যায্য মূল্যে দুধ-ডিম-গরুর মাংস বিক্রি উদ্বোধন
শনিবার (১৮ মে) সকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াপসা বিবি) বিভাগীয় কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুন মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি। এতে অন্য কোনো এলার্জেন্স নেই। দেশের ৪৫ ভাগ মানুষ প্রাণিজ প্রোটিনের উপর নির্ভরশীল। প্রাণিজ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো পোলট্রি শিল্প। অথচ সিলেট অঞ্চলে লেয়ার খামার ও পোলট্রি হ্যাচারি নেই বললেই চলে।
বক্তারা আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে কর্মক্ষম যুব সমাজকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি গ্রামীণ নারীদের পোলট্রি শিল্পে নিয়োজিত করতে পারলে এ অঞ্চলে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। পোলট্রি শিল্পেও কৃষির মতো কমার্শিয়াল বিদ্যুৎ বিলের পরিবর্তে আবাসিক বিল দিতে হবে। একইসঙ্গে উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের সুবিধা বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, সিলেট জেলায় সোনালি জাতের মুরগির চাহিদা রয়েছে এক লাখ। অথচ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ হচ্ছে ১০ হাজারের মতো।
কর্মশালায় বায়ু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রান্তিক চাষি পর্যায় থেকে বাজার পর্যন্ত ডিমের দামের বৈষম্য কমানোর তাগিদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
কর্মশালায় অংশ নেওয়া গবেষকরা বলেন, সিলেটের হাওরাঞ্চলে হাঁস পালনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে ব্যক্তি পর্যায়ে কাজে লাগানো যায়।
সিলেট কৃষি বিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূইঞা।
অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- ওয়াপসা বিবির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় চিফ এপিডেমিউলজিস্ট ডা. আছির উদ্দিন, ওয়েস্টার পোলট্রি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন- ওয়াপসা বিবির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন।
আরও বক্তব্য দেন- অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব—ই—ইলাহী, অধ্যাপক ড. এম রাশেদ হাসনাত।
আরও পড়ুন: ৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
তুলা চাষে ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা
তুলার উৎপাদন বাড়াতে ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।
দেশের ২৬টি জেলার ১২ হাজার ৩৭৫ জন কৃষক জনপ্রতি এক বিঘা জমিতে তুলা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় হাইব্রিড তুলা বীজ, ২৬ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার এবং বিভিন্ন রকমের বালাইনাশক ও নিয়ন্ত্রক বিনামূল্যে পাবেন।
আরও পড়ুন: কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
এসব উপকরণের বাজারমূল্য ৮ হাজার টাকা।
সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়েরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফখরে আলম ইবনে তাবিব বলেন, প্রথমবারের মতো তুলা চাষে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। তাদের অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, বিনাধান ১৯ ও বিনাধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারাখাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
উৎপাদন বাড়াতে পাট চাষিদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার
সারাদেশে পাট চাষ বাড়াতে কৃষকদের প্রায় ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এবার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ জন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষক বিনামূল্যে বীজ পাবেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাট চাষের আওতায় এক বিঘা জমির জন্য প্রত্যেক কৃষক এক কেজি বিজেআরআই তোষা পাট-৮ (রবি-১) বীজ পাবেন।
শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে এই প্রণোদনাটি বিতরণ শুরু হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র।
তিনি বলেছেন, তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা ও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এটিকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই আমরা এগোতে চাই।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০০১-২ সালের চেয়ে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এ প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা ও একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্যই এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠুভাবে তা পালনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি অভয়াশ্রম সম্পৃক্ত এলাকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে তাদের জন্য ভিজিএফের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের উদ্যোক্তাদের চেয়েও দ্বিগুণ লাভ করার মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের রক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের জন্য ইলিশের দাম অনেক শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অসাধু ব্যবসায়ী যারা কারসাজি করে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
পরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর প্রতিবেদন শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
চাষিদের পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নতুন দায়িত্ব নেওয়া বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
নানক বলেন, আমি প্রতিমন্ত্রী ছিলাম ২০০৮ সালে। সেই সময় একটি চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম। বিএনপি-জামায়াত এমন একটি দেশ রেখে গিয়েছিল, যে দেশটি ছিল মুখ থুবড়ে পড়া একটি দেশ। ছিল পানির হাহাকার। সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে সারা বাংলাদেশে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আজ একটি নতুন মন্ত্রণালয়ে, নতুন জায়গায় আবার সেই মাঠের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। মাঠের কৃষকদের সঙ্গ যোগাযোগ হবে। পাট উৎপাদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে।
তিনি বলেন, পাট ও বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে যে প্রধান রপ্তানিকারী শিল্প রয়েছে সেই শিল্পকে উতরে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব এটি আমার বুকভরা প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
দেশের সব এলাকার পোশাক কারখানায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রস্তুত বিজিএমইএ: ফারুক হাসান
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার কোনো কারখানায় শ্রম অসেন্তোষের সংবাদ পায়নি। সব কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। আশুলিয়া এলাকার বন্ধ পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকরা কাজে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করায় বুধবার আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মিরপুরের বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে ১৪ নভেম্বর ও ১৫ নভেম্বর আলোচনা হয়েছে। দুই দিনের আলোচনায় শ্রমিকরা কারখানায় কাজে ফিরতে চান। বৃহস্পতিবার থেকে মিরপুরের এবং অন্যান্য সব জায়গার বন্ধ হওয়া পোশাক কারখাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক উদ্যোক্তা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর প্রতি অনুরোধ, পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিন। এলাকায় সুষ্ঠূ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ন পরিবেশ নিশ্চিত করুন, সর্বোপরি, জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ নিন।
একই সঙ্গে শ্রমিক, কর্মচারী ও মালিকরা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ভাঙচুর বন্ধ না হলে জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় মালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে: বিজিএমইএ