উৎপাদন
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে: ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
পেঁয়াজের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যে পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হয়, সেগুলো যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলু ও কিছু কীটনাশক আমদানিতে শুল্ককর হ্রাস
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির সময় বড় একটা অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজ পরিবহনের জন্য উন্নত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা হবে।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, সোনামসজিদ বন্দর পরিচালায় নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ৩০ টাকা
১ মাস আগে
মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষিকাজের প্রাণী হিসেবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো। আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএম এ ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষের পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে নারীরা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা বলেন, ইতোপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও২) হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
বক্তারা বলেছেন, উন্নত বিশ্ব মহিষের উৎপাদনশীলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে তাদের প্রজনন কর্মক্ষমতা এবং দুধ উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে।
ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক ওমর ফারুকি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব, ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
আমরা কীভাবে জিনিসগুলো উৎপাদন করি তা গুরুত্বপূর্ণ: বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামে লুৎফে সিদ্দিকী
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি সত্যিকারের ঝুঁকি যা সম্পর্কে আমাদের মনে রাখা দরকার।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম ২০২৪'-এ তিনি এ কথা বলেন।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন: ‘উদ্যোক্তা হিসেবে এবং ব্যবসা হিসাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা কিভাবে পণ্য উৎপাদন করি। সবচেয়ে কম খরচে উৎপাদন করাটাই কেবল বিবেচ্য বিষয় নয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তব ঝুঁকি যা আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার। আমাদের এটিকে কেবল কমপ্লায়েন্স ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় বরং সঠিক ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে ১০ অক্টোবর
এ ফোরামে বাংলাদেশের সাসটেইনিবিলিটি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংলাপ, সহযোগিতা এবং কার্যকরী কৌশলসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত এবং ত্বরান্বিত করতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ জন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ ফোরামের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। শিল্পের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, জলবায়ু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী, উদ্ভাবক, ব্র্যান্ড, উন্নয়ন সংস্থা, নীতিনির্ধারক এবং শিক্ষাবিদদের একত্রিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দিনব্যাপী এবারের ফোরামের কর্মসূচির মধ্যে ছিল মূল বক্তব্য উপস্থাপনা, প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞগণের উপস্থাপনা এবং কর্মশালা। এখানে প্রায় ৪০ জন দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তারা সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক এবং কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যত গড়ে তোলার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তাছাড়া এ ফোরামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম ২০২৪ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিল অ্যাপারেল ইমপ্যাক্ট ইনস্টিটিউট, ক্যাসকেল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জিআইজেড, এইচএন্ডএম, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস, পিডিএস লিমিটেড এবং টার্গেট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম. ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ কম, যা প্রায় ২ শতাংশ। আমরা এটিকে আরও বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা সাসটেইনিবিলিটিতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বৃহত্তর সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি আপনারা সাসটেইনিবিলিটির দিকে অগ্রযাত্রায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং দেশকে এগিয়ে নেবেন।’
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং রাষ্ট্রদূত এইচই মাইকেল মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিটি ভগ্নাংশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের একটি সামষ্টিক দায়িত্ব রয়েছে। অনুদান এবং ছাড়যোগ্য ঋণ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ একত্রিত করার গ্লোবাল গেটওয়ের লক্ষ্য রয়েছে।’
জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তা বাংলাদেশ এবং জার্মানি উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই, নিরাপদ এবং স্থিতিস্থাপক উপায়ে তার জ্বালানি চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।’
আরও পড়ুন: চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ ক্লাইমেট অ্যাডাপশন এক্সপোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নেদারল্যান্ডস কিংডমের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স থিজ ওয়াউডস্ট্রা বলেন, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত যে, পোশাক শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে টেকসই এবং সার্কুলার টেক্সটাইলকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগির কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের পোশাক খাত এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আপনি পৃথিবীর প্রতি যত্নবান, আপনি দেশের প্রতি যত্নবান। এবং এই কারণেই আপনি আজ এখানে আছেন। আপনারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। ক্লাইমেট অ্যাকশন কোন বোঝা নয়, বরং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি ব্যবসায়িক সুযোগ।’
তিনি বলেন, আপনারা সবাই বাংলাদেশকে ভালোবাসেন এবং এ দেশ থেকে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ দূর করতে চান। সস্তা শ্রম বাংলাদেশের জন্য এখন আর প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা যদি আমাদের ক্রেতাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন না করি, তাহলে আমরা সফল হতে পারব না। লক্ষ্য অর্জনের জন্য, উৎপাদনকারীদের আরও সামষ্ঠিক দায়িত্ব নিতে হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমর্থন প্রয়োজন।’
গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাসমূহ যেমন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই), বাংলাদেশে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ও সুইডেন দূতাবাস, আইএলও, লডস ফাউন্ডেশন, অক্সফাম বাংলাদেশ, এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশ ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামে’ একত্রিত হয়।
তাছাড়া বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আর্মস্ট্রং ফ্লুইড টেকনোলজি, ফোর্বস মার্শাল, গ্রান্ট থর্নটন ভারত এলএলপি, ইলুকুম্বুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং জিনকো সোলারের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আয়োজন করা হয় ’ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ’।
পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে তিন শতাধিক প্রকৌশলী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাসটেইনেবিলিটি এবং ডিকার্বনাইজেশন বাস্তবায়নে ব্যবহারিক জ্ঞান ও কৌশলসমূহ আয়ত্ত করার সুযোগ লাভ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সংক্রান্ত উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন, নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং সকলের জন্য একটি টেকসই, কম কার্বন ভবিষ্যতের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামের অন্যতম লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
২ মাস আগে
টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক সেক্টর কোঅপারেশন (এসএসসি)’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চুক্তি সই করেছে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে সই করেন ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে সই করেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।’
চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসঙ্গে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।
এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হলো- প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
বলপূর্বক গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
৩ মাস আগে
গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনও প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে কম থাকায় সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টায় দেশে ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদা ছিল কিন্তু লোডশেডিং হয়েছে ১ হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির দাপ্তরিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওই সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল ১২ হাজার ৭৮৮ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকট: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে দেশ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় চাহিদা বেড়ে ১৫ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে কারণে লোডশেডিং বাড়বে।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঢাকার অনেক এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, দিনের শুরুতেই সকাল ১১টায় এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুর, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেন না বলে জানান বিপিডিবির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী
বিপিডিবি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ৪ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সামিট গ্রুপ তাদের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারছে না। যে কারণে আমদানি করা সরবরাহ থেকে জাতীয় গ্রিড প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছে না।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৬০৯ দশমিক ৪ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন হয়েছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
৩ মাস আগে
কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে গুণগত বীজ সরবরাহ করতে হবে। যে বীজ কৃষকের কাছে যায় সেগুলো যেন গুণগত মানসম্পন্ন হয়। বীজের মান ভালো না হলে ফসল ভালো হবে না।’
বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন কৃষি উপদেষ্টা।
সার প্রসঙ্গে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘সারের কোনো সমস্যা নেই। কৃষকের কাছে সারটা যেন সময় মতো পৌঁছায় এটা নিশ্চিত করতে হবে। সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সাবেক মেয়র আব্দুল খালেকসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উৎপাদন বাড়াতে বীজ ও সারের পাশাপাশি কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে কৃষকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।’
উপদেষ্টা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে কৃষকদের সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্নীতিকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতিবাজের জন্য কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। কৃষকরা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও অসাধু শ্রেণির জন্য কৃষক দাম পায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়। এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আন্দোলন।’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দীপু মনিসহ ৬২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৩ মাস আগে
প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে খামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় মৎস্যচাষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রতিটি পর্যায়ে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে মৎস্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘ভরব মাছে মোদের দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিবছরের মতো জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্যখাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ জন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক-২০২৪ প্রদান করা হবে।
পদকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক।
এদিন বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন। সপ্তাহের চতুর্থ দিন বিএফআরআই একটি সেমিনার আয়োজন করবে। ৫ম দিন রবিবার (০৩ আগস্ট) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মৎস্য অভয়াশ্রম ও সংরক্ষিত এলাকা স্থাপন, ইলিশ সংরক্ষণ, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিকাশে সামুদ্রিক মাছের মজুদ নিরূপণ ও স্থায়িত্বশীল আহরণ, মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের ভ্যালুচেইন উন্নয়ন, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, নদীনালা, খাল, বিলে পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য হ্যাচারি আধুনিকায়ন,খাঁচায় মাছ চাষ প্রযুক্তি ও অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চীনকে টপকিয়ে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে মাছ উৎপাদনে আমরা প্রথম হতে চাই। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সামুদ্রিক মাছের অবস্থান, গতিবিধি, মজুদ নিরূপণ ও আহরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার আধুনিক ট্রলার আনার ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তা পাওয়া গেলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান মন্ত্রী।
আব্দুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মাছের আহরণ, বিপণন ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি করতে পারলে মৎস্য খাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
আরও পড়ুন: দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সরকার মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত জেলেদের শনাক্ত করে তাদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রায় ১৮ লাখ ১০ হাজার জেলের মধ্যে ১৫ লাখ ৮০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৫০টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে। বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাভাব থাকা সত্বেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭৭ হাজার ৪০৮ টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৩৮ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অবৈধ কারেন্ট জালের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদনকারীরা এ বিষয়ে কোর্টে রিট করায় উৎপাদন বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সজাগ আছে এবং আইন মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
চিংড়ি রপ্তানির আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষি জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশের ফলে জমির মালিকরা এখাতে জমি ইজারা দিতে চান না। এছাড়া দেশীয় বাজারে চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে চিংড়ির রপ্তানি কিছুটা কমে গেছে। তবে চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪ মাস আগে
‘২০৩০ সালের মধ্যে মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা’
১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে সরকারি দাবি থাকলেও পাওয়ার সেলের এক নথিতে দেখা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এর মধ্যে ২৩০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং ১ হাজার ৮০ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ।
ইউএনবির হাতে আসা পাওয়ার সেলের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোট ৩ হাজার ৯৬৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা স্তরে রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট প্রকল্প নির্মাণাধীন, ৬০৯ মেগাওয়াট লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) পেয়েছে, ২২৮ মেগাওয়াটের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন এবং ২ হাজার ১৮৩ মেগাওয়াট পরিকল্পনা গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল, ১ জুন থেকে কার্যকর
গত বছর এক আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
‘এনসিউরিং অ্যাক্সেস টু অ্যাফর্ডেবল, রিলায়েবল অ্যান্ড মর্ডার্ন এনার্জি সার্ভিসেস টুয়ার্ডস আ রিসাইলেন্ট সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি আরও বলেছিলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন জোরদারের লক্ষ্যে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা, সোলার ইরিগেশন রোডম্যাপ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির মতো উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন নসরুল হামিদ।
তবে পাওয়ার সেলের নথিপত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বর্তমানে মাত্র ১৫টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণাধীন। এর মধ্যে চারটি সরকারি খাতে (১৫৩ মেগাওয়াট) এবং ১১টি বেসরকারি খাতে (৪০৮ মেগাওয়াট)।
সরকারি খাতের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- সিরাজগঞ্জ ২ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র
- বরিশাল ১ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ
- সোনাগাজী ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ
- মাদারগঞ্জ জামালপুর ১০০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
বেসরকারি খাতের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ (ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বিডি)
- পাটগ্রাম লালমনিরহাট ৫ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (পিভি পাওয়ার পাটগ্রাম)
- সিলেট ৫ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (ইকি সুজি ও সান সোলা পাওয়ার)
- সুনামগঞ্জ ৩২ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (হাওর বাংলা, কোরিয়া গ্রিন এনার্জি)
- তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ (করতোয়া সোলার)
- বেড়া ৩.৭৭ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (সৌদি এগ্রো সোলার)
- পাবনা ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (ডায়নামিক সান এনার্জি)
- সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ (বিসিআরইসিএল)
- মোংলা, বাগেরহাট ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ (মোংলা গ্রিন পাওয়ার)
- নারায়ণগঞ্জ ৬ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ (ইউডি গ্রিন এনার্জি)
- উত্তর ঢাকা ৪২.৫০ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ (ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড)
পাওয়ার সেলের এক কর্মকর্তা জানান, এসব প্রকল্পের বাইরে ৬০৯ মেগাওয়াটের মোট ১৩টি প্রকল্পের জন্য এলওআই ও এনওএ ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পের (২২৮ মেগাওয়াট) দরপত্র প্রক্রিয়াধীন এবং ২৫টি প্রকল্প (২১৯৩ মেগাওয়াট) পরিকল্পনা গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, বিশেষ করে সৌর ও জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পাওয়ার সেলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
গত মার্চে নসরুল হামিদ বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল জরুরি: বক্তারা
৪ মাস আগে
গ্যাস সংকটে ফের চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত
চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে নতুন করে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া, স্টেম টারবাইন বিকল থাকায় ওই ইউনিটে থেকেও বন্ধ রয়েছে আরও ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকার কারণে ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২০ থকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যাদুটি সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে উৎপাদন কেন্দ্রের বিকল হয়ে পড়া যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর মূল ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়। তবে, এখন নতুন করে গ্যাস সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যন্ত্রাংশ অকেজো হওয়ায় ৫০ মেগাওয়াট স্টেম টারবাইন ইউনিটও এখন বন্ধ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূরুল আবছার বলেন, ‘এরইমধ্যে গ্যাসের চাপ বাড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধান ও বিকল ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ কর্মকর্তা জানান, প্রথমে গ্যাস বুস্টারে ত্রুটি ধরা পড়ে, তা মেরামতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে কাজ করতে করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। তারপর ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটটি চালু হলে নতুন করে আবার বিয়ারিংয়ে ত্রুটি দেখা দেয়। তা সারিয়ে গত তিন সপ্তাহ পুরোদমে এই ইউনিটটি চালু হয়। তবে এখন চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ না থাকায় নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৮ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও ২০ থেকে ২২ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
ব্যবস্থাপক আরও বলেন, ‘স্টেম টারবাইন ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। দুই সপ্তাহ পর বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সেটি মেরামতের জন্য কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: তীব্র পানি-গ্যাস সংকটে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা
গ্যাস সংকট: সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে
৫ মাস আগে
উৎপাদন বাড়াতে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, চলতি বছরে তাপদাহে আমসহ বেশকিছু ফসল উৎপাদন কম হয়েছে। তাই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ বেশি করে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ঠ সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশের মূলধারার সুপার মার্কেটগুলোতে আম সরবরাহ করা গেলে আম রপ্তানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে ও আম উৎপাদনকারীরা অধিকতর লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন: ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুরের কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং হাউজে আম রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করতে আম রপ্তানি খুবই সম্ভাবনাময়। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার আম রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
আম রপ্তানিকারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য শ্যামপুরের কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং হাউজ আধুনিক ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ চলমান আছে।
সোমবার(১০ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি উদ্বোধন করা হলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর জাতের প্রায় ১৮৯ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এ দিন ১৪টি কনসাইনমেন্টে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে ২৫ টন আম রপ্তানি করা হবে।
এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রায় ৩৮টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলি, সুরমা, ফজলি, বারি-৪ জাতের রপ্তানিযোগ্য ৩ হাজার ১০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৮টি দেশে ৩ হাজার ৯২ টন আম রপ্তানি করা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন: পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
৬ মাস আগে