তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চারটি এলাকায় শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। আমরা আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছিলাম। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সাথে মিলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করছেন। ঈদের বন্ধেও আমরা সতর্ক থাকব।’
শনিবার শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী শামীম বলেন, দেশে প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। যার মধ্যে উপকূলাঞ্চলেই রয়েছে প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার বাঁধ। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৪০-৫০ বছরের পুরনো সব বাঁধ আমরা সুপার ডাইকে পরিণত করছি। আমাদের ১৩৯টি পোল্ডারের মধ্যে ১০ পোল্ডারে প্রায় ৩,৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে এবং আরও ছয়টি প্রকল্প শিগগিরই একনেকে যাবে।’
শ্রমিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা সংকটের মধ্যেও আমরা ১৯ এপ্রিল থেকে প্রায় ১,৫০০-১,৭০০ শ্রমিক দিয়ে নড়িয়াতে প্রকল্প কর্মকাণ্ড চালু রেখেছি।’
এ সময় চিফ ইঞ্জিনিয়ার (বাপাউবো) তোফায়েল আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হেকিম, খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতিনিধি এবং বেঙ্গল গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপমন্ত্রী নড়িয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারের পক্ষে ২০ মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য প্রায় ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা এবং নড়িয়া শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলার প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগের পক্ষে ঈদ উপহার (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ করেন।