জনপ্রতিনিধি
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী মন্ডল মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরে আমরা যাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, আবিদা সুলতানা যুঁথী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের, সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) অভিজিৎ দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ এছাড়া যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের মধ্যে থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই সবাই মিলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধা সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শনিবার (২৯ জুন) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমুহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে উভয়কেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি মাইলফলক। ক্যাশলেস করার কারণে রাজস্ব সংগ্রহ বহুগুণ বাড়বে। এই সেবা শুধু ঢাকা জেলায় নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম চালু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি নয়, স্মার্ট ক্যাশলেস সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তিও কমবে৷ আগে আমরা দেখেছি, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাজস্ব প্রদানসহ যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অনীহা দেখা যেত। কিন্তু, ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার মাধ্যমে জনগণ খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আনার কলি পুতুল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
৫ মাস আগে
নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ যাতে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছেন।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা হাতের নাগালে পায় সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
পরিবর্তীত বাংলাদেশে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উত্তরোত্তর পৃথিবীর বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।
এ সময় নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদেরকে নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে ঢাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিএনপি শাসনামলের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হত মাত্র ১১০০ মেগাওয়াট। মানুষ তখন লোডশেডিং এর জ্বালায় অস্থির হয়ে বলতো বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে।
তিনি আরও বলেন, দেশের শিল্প উৎপাদন কৃষি উৎপাদন প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। কৃষক বিদ্যুৎ ও সারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে কোন কৃষক বিদ্যুৎ বা সারের দাবিতে আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়েনি।
আজকের বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ যা এক সময় কল্পনাও করা যেত না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ভৌগোলিক আয়তনে ছোট্ট ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সতের কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন ও খাবারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়লে আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়েছে কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমাদের এখানে কোনো খাদ্য সংকট তৈরি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ভালো উদ্যোগ নস্যাৎ করার উদাহরণ টেনে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষ যাতে চিকিৎসা সেবার আওতায় আসতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। অথচ বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
সংকীর্ণ দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে বিএনপি কখনো যেতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অথচ কমিউনিটি ক্লিনিক আজ শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে জাতিসংঘ দ্বারা স্বীকৃত এবং সারা বিশ্বে প্রশংসিত একটি উদ্যোগ।
মন্ত্রী এ সময় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের অনেকের চিন্তাভাবনায় নেতিবাচকতা রয়েছে। এই নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচকতায় আসতে হলে মনোজাগতিক একটি পরিবর্তন দরকার।
মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন একদিনে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। সমাজ ব্যবস্থা মানুষের চিন্তা-ভাবনার জগতে প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নেতিবাচকতার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃশ্যমান শত শত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখেও অনেকে তা অস্বীকার করে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল এর মত বড় প্রকল্পের কথা না হয় বাদই দিলাম, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এবং পানির সুবিধা নিশ্চিত করার কৃতিত্বটুকুও অনেকে সরকারকে দিতে চায় না।
ভালো কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাহলে মানুষ আরও বেশি ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পায়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রক্ষায় জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক বিষয় হচ্ছে জাতির পিতার খুনিদের আইন করে অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেরকম সারাজীবন সংগ্রাম করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নানা রকমের চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বিএনপি জামাতের বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সুশাসন ও সুবিচারের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে
জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জনপ্রতিনিধিরা আদর্শবান হলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যতটা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায় তা অন্য কোনো পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। নির্বাচনের জন্য হোক অথবা মানুষের সেবা করার জন্য হোক, সমাজে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়।
তিনি বলেন, মানুষের অভাব অনটন থেকে শুরু করে দুঃখ-দুর্দশা এবং বিভিন্ন মতবিরোধে বিচার সালিশ করতে হয় জনপ্রতিনিধিদেরই। তাই জনপ্রতিনিধিরা যখন সমাজের সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, মানুষ তাদের সব সমস্যা নির্দ্বিধায় জনপ্রতিনিধিদের বলতে পারে তখন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
তিনি রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের জন্য আয়োজিত “সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ” কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অংশীদারদের মতামতের সমন্বয় জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য শুধুমাত্র অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন এ ধারণার বিরোধিতা করে বলেন, সরকারি যেকোনো অর্থ একটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ হয়, সেখানে নিজের খেয়াল খুশি মতো খরচ করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, অর্থ বরাদ্দের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ যাতে সবাই নিজ নিজ সম্ভাবনাকে বিকশিত করার সুযোগ পায়।
মন্ত্রী এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নগরায়ন হলে তার সুবিধা সবাই ভোগ করবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন হলে তা টেকসই হয় না বরং মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ একা বেঁচে থাকতে পারে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের টিকে থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি একা সচেতন হলে সামগ্রিকভাবে তা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সবাই যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেবে তখনই ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
একা স্বার্থপরের মতো টিকে থাকার সময় শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ এলাকা এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকেই সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ এবং সচেতন হতে হবে।
জনগণকে জাগিয়ে তোলা এবং সচেতন করার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি আপনার এলাকার মানুষের যতটা কাছে যেতে পারবেন তা কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর এবং সভাপতিত্ব করেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
আরও পড়ুন: পৌরসভা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
৫০ বছরেও হয়নি সেতু
৫০ বছর ধরে নানা সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নড়াইল সদর উপজেলার কাজলা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়নি একটি সেতু। ৮০ মিটার প্রশস্ত এ নদীতে কোনো সেতু না থাকায় তিন ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ রশি টেনে নৌকার মাধ্যমে নদী পারাপার হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নড়াইল শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুলিয়া বাজার। এ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কাজলা নদী।
প্রতিদিন এই নদী পার হয়ে মুলিয়া বাজার ও নড়াইল শহরে আসা-যাওয়া করতে হয় মুলিয়া, শেখহাটি, তুলারামপুর ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে। একটি মাত্র নৌকা দিয়ে এপার-ওপার রশি বেঁধে সেই রশি টেনে পার হতে হয় নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বৃহস্পতিবার
বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নদীতে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে এলাকাবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শুধু আসা-যাওয়ার সমস্যাই নয় ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি পণ্যসহ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুলিয়া গ্রামের সুজিত বিশ্বাস বলেন, মুলিয়া বাজার থেকে নড়াইল শহরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার হলেও সেতু না থাকায় ১৫-১৬ কিলোমিটার ঘুরে শহরে আসতে হয়। বারবার আশ্বাস দিলেও কেন সেতু নির্মাণ হচ্ছে না, এটা বুঝতে পারছি না।
দেবভোগ গ্রামের রেমো শীল জানান, সারা জীবন আমাদের বাবা-দাদারা রশি টেনে নৌকা দিয়ে নদী পার হয়েছেন। এখন আমরাও রশি টেনে পার হই। এই দুর্ভোগ যে কবে শেষ হবে, সেটা কেউ বলতে পারে না।
একই এলাকার রমেশ সাহা বলেন, সেতু না থাকায় বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীদের। ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করে পার হতে দেরি হওয়া গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুও হয়েছে এই ঘাটে।
পানতিতা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস বলেন, রাত ১০টা বাজলে ভোগান্তি বাড়ে। তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে এসে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ওই পার থেকে কেউ এলে তারপর নৌকা পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ী রতন হালদার বলেন, সেতু না থাকায় প্রতি ট্রাক মাল আনতে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি দিতে হয়। ২০ বছর ধরে শুনে আসছি এই নদীতে সেতু হবে। কিন্তু বাস্তবে সেতু নির্মাণের কোনো আলামত দেখছি না। সেতু না থাকায় আমার মতো শত শত ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কালুরঘাট সেতু
১ বছর আগে
আদালতের ব্যতিক্রমী সাজায় আসামি এখন জনপ্রতিনিধি!
বরিশাল আদালতে পৃথক মাদক মামলায় ১২ আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর জেলে না দিয়ে এক বছরের প্রবেশনে (পরীক্ষাকালীন) মুক্তি দিয়েছিলেন বিচারকরা।
সাজায় তারা গত এক বছর প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে কেউ হয়েছেন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর কেউবা মৎস্যজীবী।
বুধবার বেলা ১২টায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ।
ব্যতিক্রমী এ সাজাকালীন সময়ে মাদক সেবন ও বিক্রির মতো ভয়াবহ কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে অংশ নিয়েছেন মাদক বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডেও। পরিবেশ রক্ষায় লাগিয়েছেন গাছ, ধর্মীয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাধ্যানুযায়ী দান করেছেন। আসামিরা প্রবেশনকালীন সময়ে আদালতের নির্দেশনা মতো জীবন পরিচালনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, বিএনপির ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এর আগে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ১২ আসামিকে নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক সভা হয়।
বরিশাল জেলার একটি উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া যুবক মোতালেব সরকার (ছদ্দনাম) জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার দায় স্বীকারের পর আদালত আমাকে প্রবেশনে সংশোধনের জন্য পাঠায়। গত এক বছর আদালতের নির্দেশনা মেনে জীবনযাপন করে নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি।
নগরীর বাসিন্দা রফিকুল হাসান (৩৯) বলেন, মাদকসহ আটকের পর আদালত তাকে মাদক থেকে বিরত ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বলেন। তিনি এখন মাদক সংশ্লিষ্টতা ছেড়ে উজিরপুর উপজেলায় ব্যবসা করছেন।
শরিফুল ইসলাম (৩৩) জানান, আদালতের নির্দেশনা মেনে একটি কওমী মহিলা মাদ্রাসার নির্মাণকাজে দানসহ মাদক বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মাছচাষ করে পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন।
প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ জানান, চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ায় শিগগিরই তারা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজে মাথা উচু করে বাঁচতে পারবে। তাদের আর আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরতে হবে না। এসব কাজে পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শদান ছাড়াও তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
তাদের মাদক বিরোধী কার্যক্রমে আরও গতি আনতে জাতীয় যুব পুরষ্কার প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন আবিষ্কারের উদ্যোগে মাদক বিরোধী শ্লোগান সম্বলিত টিশার্ট ও প্লেকার্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকাল ৪টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
প্রশ্নপত্র ফাঁসে ঢাকায় গ্রেপ্তার জনপ্রতিনিধিকে বগুড়া জেলা আ’লীগ থেকে বহিস্কার
বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার জনপ্রতিনিধি মাহবুবা নাসরীন রূপাকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রবিবার বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
আল রাজি জুয়েল জানান, গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদে ঢাকায় সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবা নাসরীন রূপার বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তার এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতা: কুমিল্লায় আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত ১২
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনসহ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, তারা জাতির দুঃসময়ে, দুর্দিনে, বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজকে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সম্প্রতি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রের একটি অংশ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পড়ুন: ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরতে শিগগিরই সংসদে বিল পেশ: মুরাদ
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের সাড়া পায় না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ইন্ধনের চেষ্টা করছে।’
শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত দেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সকল ধর্মের মানুষের সহবস্থানে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। মানুষ যে ধর্মের হোক না কেন, সে যেন রাষ্ট্রীয় অভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতি বাস্তবায়ন করছেন।’
পড়ুন: সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক হামলা: ফখরুল
কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
৩ বছর আগে
অপরিকল্পিত প্রকল্প উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে: এলজিআরডি মন্ত্রী
পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে এলজিইডিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: এলজিআরডি মন্ত্রীস্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প নিয়ে অবকাঠামোসহ যেকোনো উন্নয়ন কাজ করলে যেমন তা টেকসই হয় না তেমনি উন্নয়নের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় না। বরং সুফলের চেয়ে কুফল বয়ে আসে। তাই সকল উন্নয়ন প্রকল্প নেয়ার আগে তার ফিজিবিলিটি স্টাডি করে গ্রহণ করতে হবে।প্রকল্প গ্রহণের আগে ফিজিবিলিটি স্টাডির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইনভায়রনমেন্টাল, জিওলজিক্যাল, হাইড্রোলোজিক্যাল, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট, ডেমোগ্রাফিক সাইজ এবং ইকোনমিক আউটপুট বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প নিতে হবে। এসব বিষয়ে স্ট্যাডি না করে প্রকল্প নেয়া যাবে না। নিলে সুফল মিলবে না।এপ্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গৃহীত প্রকল্পগুলো যদি উৎপাদনশীল, ইনকাম জেনারেটিং, টেকসই এবং সময়মত শেষ না হয় তাহলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্প নেয়া হয়, বাস্তবায়ন করার পর দেখা যায় তার সুফল মিলছে না।
আরও পড়ুন: পানির জন্য দেশে এখন মিছিল মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রীপ্রকল্পের ডিজাইনে কোনো ত্রুটি রাখা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা রাস্তার ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নেভিগেশন সুযোগ রেখে ব্রিজ নির্মাণ করে নৌ পথগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি জানান, নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
বিভিন্ন ইট ভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। যার ফলে এই ইট দিয়ে রাস্তা পাকা করার সময় রাস্তার কাজ টেকসই হচ্ছে না। তাই এ বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।এলজিইডির সমস্ত রাস্তা আইডিভুক্ত করার পর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রাস্তা আইডিভুক্ত করা নেই। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সকল রাস্তা আইডিভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আইডি নাম্বার অনুযায়ী যদি রাস্তার বরাদ্দ প্রদান করা হয় তাহলে সুষ্ঠুভাবে রাস্তা নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে এক রাস্তায় দুই প্রতিষ্ঠান অথবা দুইবার তিনবার কাজ করার কোনো সুযোগ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী ঢাকা শহর গড়ে উঠবে: এলজিআরডি মন্ত্রীমো. তাজুল ইসলাম বলেন, শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে সরকার আমার গ্রাম আমার শহর দর্শন বাস্তবায়ন করছে। এই দর্শন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আর এই কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলা গড়ে উঠবে।স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।এছাড়া, এলজিইডি, ডিপিএইচই, সকল সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা প্রতিনিধি এবং চলমান প্রকল্পসমূহের প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে