কৃষি, মৎস্য, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, প্রাণিসম্পদ, বেড়িবাঁধ ও সেতুসহ বিভিন্ন খাতে এ ক্ষতি হয়েছে বলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
গত বুধবার সন্ধ্যার পর বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে। ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বাগেরহাট জেলায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন খাত মিলে সর্বমোট ৪০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন, খাদ্য সহায়তার জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, বাগেরহাটে ৪ হাজার ৩৪৯টি বাড়িঘর আংশিক এবং ৩৭৪টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৭৫টি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩১ জন।
প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির এ তালিকা তৈরি করা হলেও যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ তালিকা করার কাজ চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।