ক্ষতি
ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর ক্ষতি ১৬৬৩.৩৮ কোটি টাকা
একসময় লাভজনক খাত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে খেলাপি ঋণ ও বড় ধরনের লোকসানে জর্জরিত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। সর্বশেষ ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৯টি ব্যাংক সম্মিলিতভাবে ১ হাজার ৬৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লোকসান করেছে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে লাগামহীন দুর্নীতি, নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অপব্যবহার এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে অসাধু ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের ফলে ব্যাংকিং খাতে বর্তমান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারের আগে এই ব্যাংকগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষের জমানো বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করা হয়েছে, যার ফলে বর্তমান সংকট দেখা দিয়েছে।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই লুটপাটের ফলে ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
বিভিন্ন ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শুধু কাগজে-কলমে থাকা কোম্পানি এবং গ্রুপটির সহযোগীদের ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ ইস্যু করা হয়।
আত্মসাৎ করা এই অর্থ সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে অনেক ব্যাংক বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এরই ধারাবিকতায় জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে ব্যাংকগুলো।
প্রতিবেদনে ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনিয়ন ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মোট ১ হাজার ৬৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া এবি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংকসহ ১০টি ব্যাংকের মুনাফাও আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় কমেছে।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি লোকসান দিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক, যা আগের বছরের এই সময়ের চেয়ে ২০১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বা ৪০ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থ পাচার রোধে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
এই প্রান্তিকে কর-পরবর্তী ৫৬৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা লোকসানের কথা জানিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। অথচ গত বছর এই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ৫৩৩.৯ কোটি টাকা মুনাফা।
ব্যাংক এশিয়ার লোকসান হয়েছে ১০৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছর মুনাফা ছিল ২৭৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
একইভাবে ইসলামী ব্যাংক ৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকা লোকসান করেছে, যেখানে গত বছর এই সময়ে তাদের মুনাফা ছিল ৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ফলে মুনাফায় ১৯৪ শতাংশ পতন হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
২০২৩ সালের এই সময়ে ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা মুনাফার বিপরীতে চলতি বছর ৮০ কোটি ১৮ লাখ টাকা লোকসান করেছে ইউনিয়ন ব্যাংক।
এ ছাড়াও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে অথবা লোকসান বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্মে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
১৬ ঘণ্টা আগে
ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বিল ডাকাতিয়ার ৮২৫০টি মাছের ঘের, ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা অংশের বিল ডাকাতিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে সোয়া তিন হাজার হেক্টর জমির ৮ হাজার ২৫০টি মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে খেতের ফসল, কয়েক হাজার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিল ডাকাতিয়ার প্রান্তিক মাছচাষিরা।
ডুমুরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য অফিসার মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়া উপজেলায় বিল ডাকাতিয়ার ৩ হাজার ৩৬ হেক্টর জমির সাড়ে ৭ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ঘেরে চাষ করা চিংড়ি ও সাদা মাছ। বিল ডাকাতিয়ার ডুমুরিয়া অংশে মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ৪৫ কোটি টাকা।
একই উপজেলার কৃষি অফিসার মো. ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়া এলাকার রংপুর, গুটুদিয়া, রঘুনাথপুর, ধামালিয়া ইউনিয়নে ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিল ডাকাতিয়া অংশে কৃষি খাতে ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভারী বর্ষণে মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
তিনি আরও বলেন, খেত থেকে পানি সরিয়ে দিতে প্রান্তিক কৃষকরা দাবি জানালেও উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে কৃষি অফিসে কোনো সেচ যন্ত্র না থাকায় পানি সরানো যাচ্ছে না। সেচের ব্যবস্থা করতে না পারলেও খেতের পানি সরে যাওয়ার পর করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ফুলতলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার মো. সেলিম সুলতান বলেন, টানা কয়দিনের ভারী বর্ষণে ফুলতলা উপজেলার বিল ডাকাতিয়া অংশে ৭১৫ হেক্টর জমির ৭৫০টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘেরে চাষ করা চিংড়ি ও সাদা মাছ ভেসে গিয়েছে। ফুলতলার ডুমুরিয়া অংশে সব মিলিয়ে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরও বলেন, টানা বৃষ্টি শুরুর আগে মাছ চাষিদের ঘেরগুলো নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে যাতে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা যায়।
একই উপজেলার কৃষি অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, ফুলতলা উপজেলার বিল ডাকাতিয়া অংশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি। ১৫০ হেক্টর জমির মধ্যে ৮০ হেক্টর জমির ধান ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিল ডাকাতিয়া তেলিগাতী মৌজার মাছ চাষি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিল ডাকাতিয়ায় তার ১৩০ একরের ৬টি ঘেরের মধ্যে ৪টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে প্রায় ৮ কোটি টাকার মাছ। বাকি দুই ঘের নেট জাল দিয়ে কোনোমতে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমার নয়, এ বছর বিল ডাকাতিয়ার সব মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। শত কোটি টাকার বেশি মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এলাকার মাছচাষিরা কীভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে? সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা তো দূরে থাক, আমাদের খোঁজখবরও কেউ নেয় না।’
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে খুলনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ি, ভেসে গেছে মাছের ঘের
১ মাস আগে
বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি: দুর্যোগ উপদেষ্টা
এবারের বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।উপদেষ্টা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন। মৃত্যের সংখ্যা ৭৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ জন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
এটা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিরুপণ করা হয়েছে। এটা বাড়তেও পারে, কমতেও পারে।তিনি বলেন, বন্যার্ত জেলায় অক্টোবর পর্যন্ত কিস্তির টাকা পরিশোধ রহিত করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা কমিটিও হবে। এ বিষয়ে তারা মনিটরিং ও উদ্যোগগুলো সম্পন্ন করবেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগকালীন সময়ে যেন দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সতর্কতা
২ মাস আগে
বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
সাম্প্রতিক বন্যায় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এছাড়াও সরবরাহে সাময়িক সংকটের কারণে কেউ যেন দুধ ও ডিমের দাম না বাড়ায় এ বিষয়ে সতর্ক করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় এনজিওগুলোর দক্ষতা কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
রবিবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও করণীয় নিয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ১২টি জেলায় ডিম ও দুধসহ প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৪১১ কোটি টাকা। আর মৎস্য খাতে ১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে সরবরাহ লাইনে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবে সাময়িক এ সংকটের কারণে কেউ দুধ ও ডিমের দাম না বাড়ায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সচেতন আছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা
কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য খামারি ও উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ঋণের কিস্তির টাকা আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা-খরায় পাটে ক্ষতি ৫৬ কোটি টাকা
খরা,অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কুড়িগ্রামের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে পাট, আমন বীজতলা,শাক সবজি ও আউশসহ বিভিন্ন ফসলের হাজার হাজার হেক্টর জমির আবাদ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের পাটের আবাদ। তথ্যমতে জেলায় এবার কৃষিতে ১০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর এই ক্ষতির পরিমাণের অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে পাটে।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও জিঞ্জিরাম এই পাঁচ আন্তঃসীমান্ত নদীসহ ১৬ নদ নদীর জেলা কুড়িগ্রাম। যার ফলে বন্যাসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে লেগেই থাকে। এ বছর এপ্রিল ও মে মাসে বৃষ্টি হয়নি। খরার তীব্রতাও ছিল বেশি। এরপর পুরো জুন মাস ধরে অতিবৃষ্টি হয়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ১০০ মিলিমিটার বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস। পরের মাস জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু হয়েছে বন্যা। দুই সপ্তাহ ধরে বন্যা চললেও এখন পর্যন্ত নিম্নাঞ্চল থেকে পুরোপুরি পানি নেমে যায়নি।
আরও পড়ুন: খরায় পুড়ছে আম, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সোনালি আঁশখ্যাত পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও খরার কারণে তা অর্জিত হয়নি। আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে। এরপর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণরুপে নষ্ট হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কারণে বিচ্ছিন্ন যাত্রাপুর এবং ধরলা নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন পাঁচগাছী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানিতে ডুবে থাকায় অনেক জমির পাট গাছ মরে গেছে। চাষিরা সেই পাট গাছ কেটে এনে পাটখড়ি হিসেবে ব্যবহারের জন্য শুকাচ্ছেন। কিছু কিছু চাষি পাট জাগ দিয়ে ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে যেসব ক্ষেত থেকে পাট পাওয়া গেছে তার উৎপাদন ও মান ভালো হয়নি। ফলে লাভ তো দূরে থাক, আবাদ খরচ তোলা নিয়ে দুঃশ্চিতায় পড়েছেন পাটচাষিরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের ঘন শ্যামপুর এলাকার রহিমুদ্দিন নামের একজন কৃষক বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে পাট কাটা যেত। এর মধ্যে বন্যায় পাট তলিয়ে সব গাছ মরে গেছে। এখন খড়ি করা ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই পাট কেটে খড়ি হিসেবে শুকাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, জেলায় এবার ২১ হাজার ৩৪৬ জন কৃষকের ১০ হাজার ২৪০ মেট্রিকটন পাট উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৬ কোটি টাকার মতো বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিম্নাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোপা আমন আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি দেরিতে নামলে আগাম রবি ফসল আবাদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি ধান: উদ্ভাবন, চাষ পদ্ধতি ও সম্ভাবনা
৩ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলন: পূর্ব রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতায় ভাঙচুর করা হয়েছে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ট্রেনের বগি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথ। এতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রেলওয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেল সূত্র বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় চারটি ট্রেনের ৪০টি বগি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রেল চলাচল না করায় চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করে। তাছাড়া জনগণের নিরাপত্তায় সরকার কারফিউ জারি করে। ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত ১৮ জুলাই থেকে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ রাখে। কার্যত এর পর থেকে আর কোনো রেল চলাচল করেনি।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে গতকাল শুক্রবার চারটি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকা, সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন সিলেট, সকাল সাড়ে ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারী এবং ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন হাটহাজারী স্টেশনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রতিটি ট্রেনে বিজিবি চট্টগ্রাম থেকে এক প্লাটুন করে সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
এসব তাণ্ডবের পর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দপ্তরপ্রধানদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে বলেছে, দুষ্কৃতকারীরা রেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যিক বিভাগের, এরপর যান্ত্রিক বিভাগের।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে একমত, আলোচনায় বসতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চারটি ট্রেনের ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের চারটি বগি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।
রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল না করায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। এর পরিমাণ ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেনে। বৈঠকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ-আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি ফখরুলের
৩ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে কাপড়ের মার্কেটে আগুন, ৮ লাখ টাকার ক্ষতি
নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার রেলওয়ে সুপার মার্কেটের আগুনে তিনটি দোকান পুড়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুনের এ ঘটনাটি ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার শ্যামবাজার টার্মিনালে লঞ্চে আগুন
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ২টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আগুনে তিনটি কাপড়ের দোকান পুড়ে গেছে।
দোকান মালিকদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আগুনে ওমর ফারুক ফেব্রিক্স, সোহেল ট্রেডার্স ও আনিস ফেব্রিক্স নামের তিনটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনে আনুমানিক ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় তীব্র তাপপ্রবাহে ডাবের দামে আগুন
রাজধানীর বনানীতে নৌ সদর দপ্তরের সামনে বাসে আগুন
৬ মাস আগে
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী শরীফ খানকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে, বুধবার শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
নিহত শরীফ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
আসামি মো. তরিকুল শেখ কালুখালী উপজেলার রুপসা বাজারের চাঁদ আলী শেখের ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কালুখালি উপজেলার রূপসা সুইচ গেট বাজার এলাকায় জদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরীফ খানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল জানান, তিনি ও শরীফ একই বাজারে ব্যবসা করতেন। তরিকুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং এভাবে অনেক টাকা হেরেছেন।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তিনি পরিকল্পনা করেন, বিকাশের এজেন্ট শরীফকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেবেন। শরীফকে হত্যা করার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে দা সংগ্রহ করেন।
শরীফ রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রূপসা বাজারের পাশে গাঁয়েবি মসজিদে ছেলেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। বাবা-ছেলে দুইজন বসে ওয়াজ শোনার সময় তরিকুল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুপসা সুইচ গেট এলাকায় জদুর দোকানের সামনে আসামি তরিকুল তাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ফোম তৈরির একটি কারখানা আগুনে পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটার নুরানী ফোম কারখানায় আগুন লাগে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন কারখানার মালিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল এভিয়েশন স্টেশন অফিসার শোয়াইব হোসেন।
কারখানার ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দৌঁড়ে এসে ফোম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
চরপাথরঘাটার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম মঈন উদ্দীন বলেন, আশেপাশে অনেক বাড়িঘর ছিল। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সময় মতো ফায়ার সার্ভিস আসায় অনেকটা রক্ষা পেয়েছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শোয়াইব হোসেন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু রাস্তা সরু হওয়ায় পানির রিজার্ভ ট্যাংক প্রবেশ করাতে পারিনি। পরে পাশের পুকুরের পানি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এই ঘটনা কেউ হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে।
তবে কারখানার মালিক মো. জাহাঙ্গীর মিয়া দাবি করেন আগুনে তার ৬০ লাখ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
৯ মাস আগে
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান, কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কমলনগরের হাজিরহাট বাজারে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলো- সফিক স্টোর, হোসেন স্টোর ও শিমুল স্টুডিওসহ আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাজারে হঠাৎ আগুন দেখতে পায়। মুহূর্তের মধ্যেই পাশের থাকা অন্য দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ'র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের ভয়াবহতা ছিল বেশি। তারপরও সময় মতো আসাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লেগে আটটি দোকান পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
পুরান ঢাকার জুতা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
৯ মাস আগে