বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। রবিবার দুপুর থেকে জেলায় বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে ধেয়ে আসায় সকাল থেকে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা, রামপাল, মোড়েলগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া বিভাগ মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার পর থেকে বাগেরহাটের নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। উপকূলের দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে।
দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বিকালের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক খালিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে বাগেরহাটের মোংলায় নদী পারাপারের একটি খেয়া নৌকা ডুবে গেছে। তবে নৌকাটি তীরে ডোবার কারণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এরপর মোংলা ও মোড়েলগঞ্জে নদী পারাপারের খেয়া নৌকা চালাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজও বন্ধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। সকাল থেকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আসতে শুরু করেছে। বিকালের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের খাবারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন, কীভাবে, কারা করেন
তিনি জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগকালিন দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে গবাদিপশুও আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসা যাবে।
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোংলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নদীপাড়ের বেশকয়েকজনের কথা হলে তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে ধেয়ে আসায় তাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ের মধ্যে সময় পার করছেন। সকালে থেকে ঝড়োবা তাস ও মাঝে মধ্যে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছাস হলে তাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ঘুম ছুটেছে খুলনাবাসীর