ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ৪টি কন্ট্রোল রুম।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবাহাওয়া অধিদপ্তর। এর পরপরই বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে থাকা জাহাজের পণ্য ওঠানামা-খালাস বন্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব জাহাজে পণ্য ওঠানামা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় আছে, সেসব জাহাজে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, জেটি, ইয়ার্ড, শেড, হ্যান্ডলিং ইকু্ইপমেন্ট নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা সব লাইটার জাহাজ কর্ণফুলী নদীর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুপুর থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সিগন্যাল-৯ জারির পর বন্দরেও আমরা অ্যালার্ট-৪ জারি করেছি। সাধারণত সংকেত ৬ কিংবা এর উপরে গেলে আমরা বন্দরে বিপদ সংকেত জারি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেটিতে জাহাজ যেগুলো ছিল, সবগুলোকে সাগরে পাঠিয়ে জেটি জাহাজশূন্য করা হচ্ছে। জেটিতে লোডিং-আনলোডিং বন্ধ আছে। ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার মুভ আপাতত চলছে। আমরা বলেছি, আঘাতের আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেটি এলাকা খালি করে দিতে হবে।’
ওমর ফারুক বলেন, ‘বহির্নোঙর থেকেও সব মাদার ভ্যাসেল গভীর সমুদ্রে পাঠানো হচ্ছে। এখন আমরা বন্দরের ইক্যুইপমেন্টগুলো সুরক্ষার ব্যবস্থা করছি। জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ও উপকূলে মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর বায়েজিদ, বাটালী হিল, লালখানবাজার, ষোলশহরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অবিলম্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ৭৮৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত