বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বরিশালে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এতে বরিশাল নগরীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর সদর রোড, অক্সফোর্ড মিশন রোড, পলাশপুর, রসুলপুর, মোহাম্মদপুর, কাউনিয়া, প্যারারা রোড, রূপাতলী হাউজিং, কলেজ অ্যাভিনিউ, বটতলা এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতা হয়েছে। পানি ঘরে উঠে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এছাড়া সদর রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছেন পথচারীসহ জনসাধারণ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার বাসিন্দা এলবার্ট বল্লব রিপন বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই বাড়ির মধ্যে পানি চলে আসে। জলাবদ্ধতা এলাকার নিত্যদিনের ঘটনা। তাই স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা এখন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের সমতলে আসার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বা শুক্রবার সকালে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে।
তিনি আরও জানান, দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর ও বরিশাল নদী বন্দরে এক নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৩.৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝে মাঝে ঘণ্টায় ৪০-৪৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে দমকা হাওয়া বইছে।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে বেলা ১১টার দিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে এক তলা বিশিষ্ট লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে রাতে দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি