চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদের দখলে থাকা সরকারি জায়গা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খুরুশিয়া বিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০০ একর বনের জায়গা উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে গত ২৬ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত চার দিনে তার দখলে থাকা ২০০ একর জায়গা উদ্ধার হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গত ১৫ বছর ধরে তার দখলে থাকা বনের সব জায়গা উদ্ধার করা হবে বলে জানান বনবিভাগ সংশ্লিষ্টরা।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের পর থেকে বড় ভাই হাছান মাহমুদের প্রভাব খাটিয়ে বনবিভাগের মালিকানাধীন একের পর এক পাহাড় থেকে শুরু করে জলাশয়, সমতল ভূমি সবকিছুই দখল করতে থাকেন এরশাদ মাহমুদ। যেখানে তিনি গড়ে তুলেন পর্যটন কেন্দ্র, বাংলো, বাগান, গয়াল ও গরুর খামারসহ নানা স্থাপনা। বিভিন্ন জলাশয়গুলো দখলে নিয়ে করেন মাছ চাষ। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খুরুশিয়া রেঞ্জের সুখবিলাস থেকে শুরু করে দুধপুকুরিয়া এবং অন্যদিকে পূর্ব খুরুশিয়া এই তিন বিটে এখন পর্যন্ত ২০০ একর বনের জায়গা তার দখল থেকে উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।
আরও পড়ুন: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এ বিষয়ে বনবিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় খুরুশিয়া রেঞ্জের কর্মীরা গত চার দিন ধরে উচ্ছেদ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার খুরুশিয়া বিট এলাকা থেকে একদিনেই ১০০ একর বনের জায়গা উদ্ধার করা হয়। এই জায়গাগুলো মহিষের চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার করতেন এরশাদ মাহমুদ এবং পাশে বিশাল একটি পুকুরে মাছ চাষ করেছিলেন।
তিনি বলেন, সরকার পতনের পর সেখানে স্থানীয়রা ১০টি টিনের ঘর বেঁধে দখলপ্রক্রিয়া চালায়। অভিযানকালে সবগুলো ঘর উচ্ছেদ করা হয় এবং পুকুরের পাড় কেটে পানিগুলো বের করে দেওয়া হয়। উচ্ছেদকৃত জায়গায় বনায়ন করা হবে। এছাড়া তার দখলে থাকা বনবিভাগের মালিকানাধীন অন্যান্য জায়গাও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। গত ৪ দিন ধরে অভিযানে এরশাদ মাহমুদের দখলে থাকা প্রায় ২০০ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদসহ ১০৮ জনের নামে মামলা