রবিবার সকাল ৯টার দিকে স্প্যানটি খুঁটি বরাবর নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয় স্প্যানটি। করোনা পরিস্থিতি, বন্যা এবং পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে দীর্ঘ চার মাস পর এই স্প্যান বসানোর ফলে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো দেশের অন্যতম বড় এই প্রকল্পটি।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিনভর চেষ্টা করেও প্রবল স্রোতের কারণে স্প্যানটি স্থাপন করা যায়নি। এর আগে গত ১০ জুন সর্বশেষ ৩১ নম্বর স্প্যান বসানো হয়েছিল।
আব্দুল কাদের আরও জানান, রবিবার সকাল ৭টা থেকেই স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়। স্প্যান স্থাপনের জন্য এটিকে বহনকারী ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান ই’ যথাযথ স্থানে নোঙ্গর করে। পজিশনিং করে নোঙ্গর করার পর ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে খুঁটির ওপরে তুলে বসানো হয়।
জানা যায়, গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচটি স্প্যান খুঁটির ওপর বসানোর লক্ষ্য থাকলেও মাওয়া প্রান্তের মূল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় একটি স্প্যানও বসানো সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড নিতে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন।