চুয়াডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের অদূরে জাফরপুর এলাকার পাওয়ার হাউস পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত এনামুল হক জনিকে পালিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে রাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত এনামুল হক জনি (৪০) পেশায় একজন ব্যাংক নিরাপত্তা প্রহরী। তার আগের স্ত্রীর ঘরে ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে, সে মাদরাসায় পড়ে। বাবা জনি বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে অশালীন প্রস্তাব দিত।
আরও পড়ুন: তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে গত ১৪ মার্চ মেয়েটি মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে থাকা ছয়টা নাপা এক্সটা ট্যাবলেট সেবন করে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সেসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়। ট্যাবলেট খাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি তার বাবার ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি বলে। তারপর দুদিন পরিবারের সবাই বিষয়টি চেপে গেলেও ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হলে, সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত জনির বাড়ি ঘেরাও করে প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ করে। পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান। সকালে প্রেস বিফ্রিং করে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’