জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী মুরাদ হুসাইনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেক শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ করতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার মীর মশাররফ হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ক্যাম্পাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন আশুলিয়া এলাকার এক নারী।
এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।