ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে একাডেমিক কার্যক্রম। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার অশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়টির দেয়াল খসে পড়ছে। প্রতিদিন কম বেশি পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। বেড়িয়ে গেছে রড। এতে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংস্কার কাজ চলছে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭২ সালে মহারাজগঞ্চ হাইস্কুল নামে যাত্রা করা এ বিদ্যাপীঠ ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে ১৯০৯ সালে জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে ১৩ একর জমিতে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে প্রভাভী ও দিবা এই দুই শিফটে এক হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়টির ভেতর কিংবা বাহিরের অবকাঠামো দেখে যে কেউ বলবে এটা কোনোভাবেই স্কুলের পরিবেশ হতে পারে না। ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে পুরো ভবন থেকে। এরই মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে চলছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা।
১৯০৯ সালের ব্রিটিশ সরকার এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটির দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয় ১৯৭২ সালে। ৫০ বছরের পুরাতন এ ভবনটির সবগুলো ক্লাসরুম এখন জরাজীর্ণ হয়ে চরম বিপজ্জনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশও এখানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন দুঃশ্চিন্তায়। শিক্ষক-কর্মচারীদের মুখেও একই শঙ্কার কথা।
এদিকে ঝালকাঠি শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সম্প্রতি সংস্কার কাজ শুরু করলেও তা নামমাত্র, আর কাজও চলছে ধীর গতিতে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা নিয়ে বার বার শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেও স্থায়ী কোনো প্রতিকার মিলছে না।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. খাইরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় ভবনটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে, দ্রুতই শেষ হবে।