ঝিনাইদহে হরিণাকুন্ডের নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম আহমেদের হস্তক্ষেপে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠানে হঠাৎ অতিথিদের ন্যায় ইউএনও হাজির হলে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা বিয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
জানা গেছে, উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে বিবাহ সম্পন্ন করার লক্ষে অনুষ্ঠানিকতা করছিলেন মেয়ের পিতা ও অন্যান্য অবিভাবক। এই খবর পেয়ে সশরীরে ইউএনও সেলিম আহমেদ বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
এসময় কনে সাবালিকা না হওয়ায় এবং এফিডেভিটের বিয়ের কোন বৈধতা নাই মর্মে সকল আনুষ্ঠানিকতাসহ বাল্যবিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এছাড়া বাল্য বিবাহ থেকে বিরত থাকবেন এই মর্মে কিশোরীর অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন ইউএনও।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ সহায়তা করে।