শনিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই পাঁচজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিবার থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শনিবার দুপুরে চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, চিলারংয়ে আড়াই বছরের এক শিশুসহ স্বামী (৩০) ও স্ত্রী (২৪) জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অসুস্থ এক ব্যক্তি জানান, কয়েকদিন আগে তিনি পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও এসেছেন। বাড়িতে আসার পর তার জ্বর বেড়ে যায় ও শ্বাসকষ্টের সাথে পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
তিনি ঢাকার এক রেস্তোরাঁয় কাজ করেন।
একই সমস্যা তার স্ত্রী, শিশু ও পরিবারের অন্য দুই সদস্যের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামবাসীরা নিজ নিজ বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল বলেন, প্রথমে অসুস্থ তিনজনকে ও পরে দুজনকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়। চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করেছেন। তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ওই পাঁচজন রোগীর মধ্যে একজনের শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে বলে জানান ডা. নাদিরুল আজিজ চপল।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ও সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে ওই এলাকার লোকজনকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।