স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার ৬নং চতুল ইউনিয়নের ১নং খতিয়ানভুক্ত ১০১৯৮ নং দাগে ১ একর ৮ শতাংশ জায়গা জুড়ে কুঠিবাড়ি খাল রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুজ্জামান লিটু শরীফ তার মৌখিক নিদের্শে পছন্দের ব্যক্তিদের ইজারা দেন, যা সরকারি বিধির পরিপন্থী। খালটি প্রভাবশালীদের হাত থেকে দখল মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবদেন জানান তারা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, ২০ একরের বেশি সরকারি জলাধার হলে সেটি জেলা প্রশাসন ব্যবহারের অনুমোদন দেয়, কিন্তু এর কম হলে স্থানীয় নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে ইজারার অনুমোদন দেবে। তবে কোনো ইউপি চেয়ারম্যান কোনোভাবে অনুমোদন দিতে পারে না।
চতুল ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মো. রাসেল খান জানান, কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে দেখা যায়, কুঠিবাড়ি খালটি ১ একর ৮ শতাংশ জায়গা সরকারি। যা চতুল ও শেখর ইউনিয়নের মৌজায় পড়েছে।
কুঠিবাড়ি খালটি দখলে রাখা জাসদ ফকির জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের নিদের্শে আমরা গত কয়েক বছর খালটি ব্যবহার করছি।
‘খাল ব্যবহারের বিপরীতে বছরের যে অর্থ দেয়া হয় তা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়,’ যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফুজ্জামান লিটু শরীফ বলেন, ‘ওই খালটি আমার আগের চেয়ারম্যানরা যেভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিত আমি সেভাবেই দিয়েছি।’
‘খাল থেকে যে অর্থ আদায় হয় সেটি ওই এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহার হয়। আমি বা আমার পরিষদ সেখান থেকে কোনো সুবিধা নেয়নি,’ যোগ করেন শরীফুজ্জামান লিটু।
বোয়ালমারীর নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, ‘সরকারি খাল দখল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে আমি উভয় পক্ষকে ডেকে নিদের্শনা দিয়েছি কেউ সেখানে যাবে না। সরকারি সম্পদ প্রশাসনই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে, অন্য কেউ নয়।’