বোয়ালমারী
ফরিদপুরে কোমরে পিস্তল গুঁজে ছবি পোস্ট, যুবক আটক
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কোমরে পিস্তল গুঁজে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ।
আটক শুভ্রদেব সিং ওরফে সুদেব সিং উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুভ্রদেব ওরফে সুদেব সিংকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাসায়নিক রঙে তৈরি হয় মশলা, আটক ৪
তিনি বলেন, শুভ্রদেব গত শনিবার (২৫ মার্চ) তার ফেসবুকে কোমরে পিস্তল গুঁজে একটি ছবি পোস্ট করেন। ঘটনাটি মিডিয়ায়ও এসেছে। এতে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তার ওই পিস্তল সম্বন্ধে জানতে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হবে কি-না কিংবা শ্রভ্রদেবকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা এ বিষয়টি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে বলা যাচ্ছে না বলে জানান ওসি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের এই নেতা অবশ্য দাবি করেন, তার ওই পিস্তলটি খেলনার।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ভর্তি মদের চালান আটক
১ বছর আগে
ফরিদপুরে পূণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার পূণ্যস্নান শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন পূণ্যার্থীরা।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগরে অবস্থিত কয়ড়া কালীমন্দির ঘেঁষে প্রবাহিত চন্দনা-বারাসিয়া নদীতে এ পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান ও নানা আয়োজনের পাশাপাশি বসেছে ঐতিহ্যবাহী মেলা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।
প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দুবলারচরে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩ দিনের রাস উৎসব
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২ বাকপ্রতিবন্ধী
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই বাকপ্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া (৩৫) ও বোয়ালমারী পৌর সদরের দক্ষিণ কামার গ্রামের বাসিন্দা মির্জু (৩৬)।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্র জানায়, কালুখালী থেকে ছেড়ে আসা ভাটিয়াপাড়াগামী লোকাল ট্রেনটি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর রেলগেট এলাকায় আসছিল। এ সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে দুই বাকপ্রতিবন্ধী যুবক মারা যান।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রেল পুলিশদের জানানো হয়েছে। তারা এসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা দু’জনই বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ট্রেনের হর্ন শুনতে পাননি।
ফলে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: এক রশিতে ঝুলছে বাবা-মার লাশ, বিছানায় ঘুমিয়ে সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা
১ বছর আগে
বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর হাতে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুপুর আক্তার (২৫) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নুর নবী খানের মেয়ে ও তার স্বামী মুসা মোল্যা (৩৫) ব্রিটিশ ট্যোবাকো সিগারেট কোম্পানিতে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
মুসা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেরগাতি এলাকার কাওসার মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ক্যাম্পে আরও এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা
জানা গেছে, অল্প বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই নুপুর তার মায়ের সঙ্গে মধ্যেরগাতির নানার বাড়িতে থাকতেন। মা পারভীন আক্তার মহিলা আওয়ামী লীগের পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। ফারিয়া নামে নুপুর-মুসা দম্পতির ১৩ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ফারিয়া বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বছর দুই বছর ধরে নুপুর একই এলাকার রেজাউল মোল্যার ছেলে নাঈম মোল্যা ওরফে লাদেনের (২২) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। নাঈম বোয়ালমারী পৌরসভার একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত। গত এক বছরে নুপুর আক্তার তিনবার নাঈমের সঙ্গে চলে যান এবং ফিরে আসেন। নাঈমের সঙ্গে তার বিয়েও হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
গত ৭ অক্টোবর এ নিয়ে স্থানীয় সালিশের সিদ্ধান্তানুযায়ী তিন মাস নুপুর আক্তার নিজ বাড়িতে থাকার কথা। এসময় মুসা কিংবা নাঈম কারো সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তিন মাস পর নুপুর তার সিদ্ধান্ত জানাবেন যে তিনি কার সঙ্গে সংসার করবেন। সে মোতাবেক স্থানীয় মাতব্বররা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন।
কিন্ত নাঈম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নানার বাড়ি মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছে- মেয়ে ফারিয়ার এমন ফোন পেয়ে মুসা নুপুরের নানা বাড়ি যান। এ সময় নাঈম পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত মুসা হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে নুপুরকে মেয়ের সামনেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে নুপুরকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় নেয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর মৃত্যু হয় নুপুরের।
ঘটনার পর থেকে মুসা ও নাঈম উভয়েই পলাতক রয়েছেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা!
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্কুলপড়ুয়া চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার অভিযোগ এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ইচাডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রী ফারিহা খানম (১২) ওই গ্রামের মোক্তার হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটক রাসেল সিকদার (১৮) একই গ্রামের মানোয়ার সিকদারের ছেলে।
ফারিহার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে ফারিহার চাচাতো ভাই রাসেল সিকদার (১৮) তার চাচা মোক্তার হোসেনের মুদি দোকান থেকে দেড়শ’ টাকার পণ্য বাকিতে কিনে। সন্ধ্যায় রাসেল বাড়ি গিয়ে ফারিহাকে ডেকে ওই বাকি টাকা নিয়ে যেতে বলে। ফারিহা সরল মনে টাকা আনতে গেলে চাচতো ভাই রাসেল তাকে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাসেলদের বাথরুম থেকে ফারিহাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রাসেল উচ্ছৃংখল প্রকৃতির। এর আগে সে একবার পরিবারের অমতে বিয়ে করে। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। একমাত্র ছেলে উচ্ছৃঙ্খল হওয়ায় রাসেলের বাবা-মা রাসেলের সঙ্গে থাকেন না। রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। তার বাবা-মাও ঢাকায় থাকেন। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এখনও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বোয়ালমারীর ইউএনও-নাজির
আদালতের জারিকারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বিচারের হুমকি দেয়ার ঘটনায় বোয়ালমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নাজিরের নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করে তাদের আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশ প্রদানকালে আদালত বলেন, ইউএনও যেহেতু ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান তিনি এটি সেখানেই শেষ করতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। এদিকে উকিল মিয়াকে আদালতের আদেশের বিষয়ে আরও যত্নশীল ও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও-পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
এর আগে আদালতের জারিকারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বিচারের হুমকি দেয়ার অভিযোগে গত ৭ জুন ইউএনও মো. রেজাউল করিম ও নাজির উকিল মিয়াকে তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত। পরে ২১ জুন ইউএনও এবং নাজির হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।
আদালতে ইউএনও রেজাউল করিমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক এবং নাজিরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো.মোজাম্মেল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় জানান, ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ওই দূরব্যবহারের ঘটনা লিখিতভাবে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে জানানো হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবমাননার রুলসহ ওই আদেশ দেন। তারা হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রথানা করেন। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করে তাদেরতে আদালত অবমানার অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন।
বোয়ালমারীর আদালত থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত অবহিতকরণপত্র থেকে জানায়, গত ২৭ এপ্রিল বোয়ালমারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানি মামলারনোটিশ জারি করতে জারিকারক মো. কামাল হোসেন ও মেহেদী হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেদিন দুপুর আড়াইটার দিকে নাজির উকিল মিয়ার কাছে নোটিশ গ্রহণের অনুরোধ জানালে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে তাদের অপেক্ষায় রাখেন। বিকাল ৪টার দিকে তারা আবারও নাজিরের কাছে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপরের তলায় গিয়ে বসতে বলেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
অন্য জায়গায় সমন জারির কাজ আছে জানালে উকিল মিয়া বলেন, তাতে তার কী, জজকোর্টের নোটিশ না রাখলে তার কী হবে? তিনি এর চেয়ে বড় কাজে ব্যস্ত আছেন। তিনি নোটিশ পাশের টেবিলে দিতে বললে পাশের টেবিলে দায়িত্বরত কর্মচারী নোটিশ বুঝে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জারিকারক বিষয়টি আদালতকে অবহিত করবে বললে জানালে উকিল মিয়া বলেন, ‘জজের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আমরা নির্বাহী বিভাগের লোক। নোটিশ না রাখলে আমাদের কিছুই হবে না।’
একপর্যায়ে নোটিশ বুঝে নেন উকিল মিয়া। এরই মধ্যে ওই অফিসের একজন কর্মচারী বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি জারিকারক দুজনকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা আটকিয়ে জেরা করতে থাকেন। স্টাফদের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জারিকারকদের সাজা দেয়ার হুমকি দেন ইউএনও। একপর্যায়ে ইউএনও তাদের মোবাইল কেড়ে নেন ও মুচলেকা দিয়ে চলে যেতে বলেন। তারা রোজা আছেন জানালে ইউএনও বলেন, মুচলেকা ব্যতীত তাদের ছাড়বেন না তিনি। একপর্যায়ে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন ইউএনও। এরপর জোর করে নির্দেশনামতে মুচলেকা লিখিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
২ বছর আগে
চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন
চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে জেলার চাষিরা। তবে পেঁয়াজ সংরক্ষণে ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত বাজারে ছেড়ে দিতে হয়। তাই পেঁয়াজ খ্যাত এই জেলায় হিমাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফরিদপুরে মাটি পেঁয়াজ আবাদে উপযোগী, যে কারণে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এই জেলা। এখানে তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়; মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। এছাড়া জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে নাগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা ও সদরপুরে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়।
সরেজমিনে জেলার কানাইপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি পেঁয়াজের বাজার দেখা গেছে, বর্তমানে প্রান্তি পর্যায়ে চাষিরা পাইকারদের (ব্যবসায়ীদের) কাছে মণ প্রতি ১৩শ’ টাকা দরে বিক্রয় করছে। তবে চাষিদের দাবি, মণ প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৯শ’ টাকা। এই ক্ষেত্রে মণ প্রতি যদি তারা ১৮শ’ টাকায় দর পেত তাহলে বেশি লাভ হতো।
বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি আশুতোষ মালো বলেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদে খরচ একটু বেশি হয়েছে।
কানাইপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যসায়ী ও চাষি শাহজাহান মিয়া জানান, শুক্র ও মঙ্গলবার এ বাজারের হাট বসে। গত ১৫ দিন হলো মণ প্রতি চাষি পর্যায়ে ১৩শ’ টাকায় বিক্রয় করছে। যা আগে হাজারের নিচে ছিল।
তিনি জানান, জেলার বাইলে বাজার, রামকান্তপুর বাজার, ঠেনঠেনিয়া বাজার, ময়েনদিয়া বাজার, ফকিরের বাজার, নালার মোড় বাজার, কাদিরদী বাজার, সাতৈর বাজারগুলোতে চাষিরা প্রচুর পেঁয়াজ নিয়ে আসে।
পড়ুন: হালদায় আশানুরূপ মাছের ডিম মিলছে না
২ বছর আগে
বোয়ালমারীতে ট্রেন-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ট্রেন-অটোরিকশা সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ববনমালীপুর-নড়াইল রেল স্টেশন এলাকায় অরক্ষিত একটি রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল খান (২৫) গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার নড়াইলখান গ্রামের নাজির খানের ছেলে। সোহেল ক্ষতিগ্রস্ত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম জানান, তিন ভাই-বোনের মধ্যে মেজো সোহেল খান অটোরিকশা চালাতেন। সকালে তিনি অটো নিয়ে বের হন। পরে অরক্ষিত ওই রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের গোবড়া থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী 'টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস'-র সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোচালক সোহেল খান নিহত হন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা: কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই রেলক্রসিংয়ের উভয় পাশে দোকান থাকায় এবং গেটম্যান না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
৩ বছর আগে
বোয়ালমারীতে ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের নবঘোষিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বোয়ালমারী থানা রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. রাজিব খান সজিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ নেতা মো. সুজন মোল্যা, মো. শান্ত, মো. লোকমান মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ত্যাগীদের বঞ্চিত করে পকেট কমিটি করা হয়েছে। আমরা এ অবৈধ কমিটি মানিনা।
অবিলম্বে বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন শফীপুত্র ইউসুফ মাদানী
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর পর নেতা-কর্মীরা আশা করেছিলেন সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান জেলা কমিটিকে চাপ দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করিয়েছেন। এই কমিটি অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ।
সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আবার দলীয় কার্যালয়ে ফিরে সমাবেশ করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে মোর্তুজা আলী তমাল এবং সাধারন সম্পাদক পদে প্রান্ত সিদ্দিক এবং পৌর কমিটিতে সভাপতি পদে আমিনুল শেখ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ২৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) উপজেলা ও পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
৩ বছর আগে
দুই মাথাওয়ালা শিশু জন্মের তিন ঘণ্টা পর মৃত্যু
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দুই মাথাওয়ালা একটি শিশু জন্মের তিন ঘণ্টা পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকালে পৌরসদরের দি ইস্টার্ন সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুটির জন্ম হয়। তিন ঘণ্টা পরেই শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের মো. সুমন মোল্যার স্ত্রী মোসা. সাথী আক্তার (১৯) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য সকালে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন দি ইস্টার্ন সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি হন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলা ১০০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডা. তাপস কুমার বিশ্বাস ওই ক্লিনিকে মহিলার অস্ত্রোপচার করলে দুই মাথাওয়ালা এক শিশু জন্মগ্রহণ করে। শিশুটির অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাড়াটিয়াকে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু
শিশুটির বাবা মো. সুমন মোল্যা জানান, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাড়ে ১১টার দিকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, দুই সপ্তাহে ৩ শিশুর মৃত্যু
এ ব্যাপারে ডা. তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে উল্লেখ ছিল জমজ সন্তানের কথা। কিন্তু অপারেশনের পর দেখতে পাই কনজয়েন বেবি (সংযুক্ত)। মা সুস্থ থাকলেও শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় শিশুটিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৩ বছর আগে